রাত বাজছে একটা! অথচ এল না এখনো। হয়তো জরুরি মিটিং। হয়তো আবার ফার্নেস চুল্লি নিয়ে যাচ্ছে কোথাও। অথবা চুল্লির উনুন মেরামত করছে। কী যে ফালতু সব কাজ! যেন সেন্ট্রাল হিটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায় না!
সোয়া একটা। হায় ঈশ্বর! আমি কি দুর্বলচিত্ত, বোকা মেয়ে বনে যাচ্ছি? মনটা শক্ত করতে হবে। আসুক আগে! ওর পরনের কাপড়চোপড় শুঁকে অন্য মেয়ের পারফিউমের গন্ধ খুঁজব না, পকেট হাতড়াব না, দেখব না মানিব্যাগ খুলেও।
একটা পঁচিশ। এই বদমায়েশটাকে আমি কী জন্য ভালোবাসি? মিথ্যুক! অসভ্য! নির্লজ্জ! শেভ করা না থাকলে শজারুর মতো কাঁটা-কাঁটা গাল! আর শেভ করলে ব্রণ!
দেড়টা। স্বাভাবিক থাকতে হবে। হিস্টিরিয়াগ্রস্ত হলে চলবে না। প্লেট-গ্লাস ভেঙে স্ক্যান্ডাল না করাই ভালো—বড্ড বেশি খরচ পড়ে যায়।
পৌনে দুটো। লম্পট! এখন যদি সে আসে এবং বরাবরের মতো সম্ভাষণ জানিয়ে বলে, ‘হ্যালো, ইরিনা!…’ আমি হাই তুলে নিরাসক্তের মতো বলব, ‘ও, তুমি…!’ কাছে ভিড়তেও দেব না।
রাত দুটো। ও এখনো এল না। বোঝা গেছে—গত বৃহস্পতিবারের মতো আজও নিশ্চয়ই রাত কাটাচ্ছে বউয়ের সঙ্গে!
ভাষান্তর: মাসুদ মাহমুদ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৯, ২০১০
Leave a Reply