অনুশীলন করতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেলেন ইংল্যান্ডের ফুটবলার ওয়েইন রুনি। ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পর তাঁর বাবা জিজ্ঞেস করেন: কিরে, ডাক্তার কী বলল?
রুনি: খেলতে নিষেধ করল।
রুনির বাবা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন: ও, উনিও তাহলে তোর খেলা দেখেছেন…।
দারুণ গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচে ৬-০ গোলে হারার পর দলের অধিনায়ক কোচকে হালকা বাতাস দিচ্ছিল: বস, জানেনই তো, ফুটবল একটা দারুণ অনিশ্চয়তার খেলা…।
কোচ: হুম্ম, তা তো জানি। তবে তোমাদের আজকের ম্যাচ দেখার পর মনে হচ্ছে ফুটবল বেশ হাস্যকর খেলাও বটে…।
চার-চারটা গোল খাওয়ার পর ম্যাচ শেষে গোলকিপার ম্যানেজারকে বললেন: জরুরি একটা কাজ আছে, আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে এয়ারপোর্টে, প্লেন ধরতে…।
ম্যানেজার টিটকারি করেন: আশা করি প্লেনটাকেও করবে না, ওটা তো ফুটবলের চেয়ে অন্তত কয়েক হাজার গুণ বড়…।
স্ত্রী খেপে গিয়ে তাঁর চরম ফুটবল-ভক্ত স্বামীকে বললেন, ফুটবল… ফুটবল…ফুটবল—সারা দিন খালি ফুটবল নিয়েই মেতে আছ। কোনো দিন যদি দেখি ফুটবল ম্যাচ বাদ দিয়ে ঘরের একটা কোনো কাজে হাত লাগিয়েছ, আমি তো মনে হয় হার্টফেল করে মরেই যাব।
স্বামী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, আমাকে আর স্বপ্ন দেখিয়ো না প্লিজ।
প্রথম বন্ধু: আমার বউ বলেছে, আমি যদি ফুটবল খেলা দেখা না ছাড়ি তাহলে আমাকে তালাক দেবে।
দ্বিতীয় বন্ধু: ইস্…কী দুঃখের কথা!
প্রথম বন্ধু: হ্যাঁ, ওকে ভীষণ মিস করব রে…!
জীবনের প্রথম ফুটবল ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার পথে ছেলে: বাবা, আমাদের দলটা কি কোনো দিন গোল দিতে পেরেছে?
বাবা: কী করে বলি বল। আমি তো মোটে ১২ বছর ধরে খেলা দেখছি।
প্রেমিকা: ফুটবল ছাড়া তোমার মাথায় কি আর অন্য কিছুই নেই?
প্রেমিক: কে বলল অন্য কিছু নেই? তুমি আছ না! হে হে হে…।
প্রেমিকা: তাই! আচ্ছা বলো তো, আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল কবে?
প্রেমিক: ওই যে রিয়াল মাদ্রিদ যেদিন কাপ জিতে নিল, সেদিন!
গ্রন্থনা: কাউছার শাকিল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৫, ২০১০
Leave a Reply