বিশ্বকাপে থিকথিকে কাদাযুক্ত মাঠ, এটা এখন কল্পনাই করা যায় না। তবে আগে তো এমন রাজার হাল ছিল না। বৃষ্টির কারণে প্রায়ই বেহাল দশা হতো মাঠের। এমনই প্যাচপ্যাচে কাদাযুক্ত মাঠে খেলা হয়ছিল ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল-পোল্যান্ড ম্যাচটি। মাঠে নামার আগে ব্রাজিলের স্ট্রাইকার লিওনিদাসের চোখ চকচক করে উঠেছিল কাদা দেখে। এমন কাদাযুক্ত মাঠে খালি পায়ে ফুটবল খেলেই তো বেড়ে উঠেছেন। তাই খুলে ফেলেছিলেন বুট জোড়া। কিন্তু বাদ সাধলেন রেফারি। নিয়ম নেই! কী আর করা, মন খারাপ করেই বুট পরে মাঠে নামলেন লিওনিদাস। করলেন তিন গোল। খালি পায়ে খেলতে না দেওয়া লিওনিদাসকে না জানি আরও কয় গন্ডা গোল থেকে বঞ্চিত করলেন রেফারি আইভান একলিন্ড। এই ‘খালি পায়ে খেলার নিয়ম না থাকা’র কারণে আজ ফিফাও হাপিত্যেশ করছে। ১৯৫০ বিশ্বকাপে খালি পায়ে খেলার অনুমতি দেয়নি বলে ভারত ওই বিশ্বকাপেই খেলেনি। কে জানে, সেখানেই ভারতের ফুটবল সম্ভাবনার মৃত্যু কিনা! ক্রিকেট-উন্মাদ সোয়া শ কোটি মানুষের বিশাল বাজারে ঢুকতে একের পর এক চেষ্টা করে যে ব্যর্থ হচ্ছে ফিফা!
পূর্ববর্তী:
« নাগরিক অধিকারের দেশ – আনাতোলি ত্রুশকিন
« নাগরিক অধিকারের দেশ – আনাতোলি ত্রুশকিন
পরবর্তী:
নাছোড়বান্দা »
নাছোড়বান্দা »
Leave a Reply