খেলোয়াড়দের কাজ পা দিয়ে খেলা। তাই বলে মুখ কিন্তু বন্ধ থাকে না তাঁদের। অদ্ভুত সব কথাবার্তা ও বেফাঁস মন্তব্য করে মাঠের বাইরেও জমিয়ে রাখেন তাঁরা, হন পত্রিকার শিরোনাম। খেলোয়াড়দের তেমনি মজার মজার কথা ওয়েবসাইট থেকে আতিপাতি করে খুঁজে বের করেছেন আলিয়া রিফাত.
আমরা হেরেছি, কারণ আমরা জিতিনি।—রোনালদো, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
ফুটবলে প্রথম ৯০ মিনিটই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। —স্যার ববি রবসন, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার এবং কোচ।
যতটা সুখী হওয়া সম্ভব আমি ততটাই সুখী, কিন্তু আমি আগে আরও সুখী ছিলাম।—উগো ওহিওগু, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার।
হয় ভালো, না হয় মন্দ। এর মাঝামাঝি কিছু না। আজকে আমরা মাঝামাঝি ছিলাম।—গ্যারি লিনেকার, সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার।
লিগ জেতার আগ পর্যন্ত প্রতিটা খেলাতেই যদি আমাদের হারতে হতো, তাতেও অবাক হতাম না। —মার্ক ভিদুকা, অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার।
আমি সত্যিই অবাক হয়েছি কিন্তু আমি সব সময়ই বলি, ফুটবলে কোনো কিছুই আমাকে অবাক করে না। —লা ফার্ডিনান্ড, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার।
ইতালিতে আমার ভালো লাগছিল না, মনে হচ্ছিল বিদেশে আছি।—ইয়ান রাশ, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার।
আমি সব সময় ডান পায়ের বুটটা আগে পরতাম। তারপর ডান পায়ের মোজা।—ব্যারি ভেনিসন, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দারুণ ছিল, যদিও আমি সেখানে যাইনি।—গ্রায়েম লি, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার।
অ্যালেক্স ফার্গুসন আমার দেখা এই পর্যায়ের সেরা ম্যানেজার। এই পর্যায়ে আমি একজন ম্যানেজারকেই পেয়েছি এবং তিনিই সেরা।—ডেভিড বেকহাম, ইংলিশ মিডফিল্ডার।
আমি কোনো ইতালিয়ান ক্লাবের হয়ে খেলতে চাই। যেমন, বার্সেলোনা।—মার্ক ড্র্যাপার, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার।
ফুটবলে মাঝে মাঝে আপনাকে গোল দিতে হয়। —থিয়েরি অঁরি, ফ্রেঞ্চ ফুটবলার।
আমি কখনোই যেতে চাইনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি এখানেই থাকব। আশা করি তার পরেও।—অ্যালান শিয়েরার, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার, নিউক্যাসল; ইউনাইটেড ক্লাব সম্পর্কে।
আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে আপনি
জিতবেনই। আমরা বিশ্বাস করি, আমরাই জিতব, যতক্ষণ না শেষ বাঁশি বেজে ওঠে আর আমরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিই।—পিটার শিলটন, সাবেক ইংলিশ গোলকিপার।
আমার বাবা-মা সব সময়ই আমার পাশে ছিলেন। যখন আমার বয়স সাত তখন থেকে।—ডেভিড বেকহাম, ইংলিশ মিডফিল্ডার
জেতা আসলে কোনো ব্যাপারই না, যতক্ষণ আপনি জিতবেন।—ভিনি জোন্স, ব্রিটিশ ফুটবলার।
মনে হচ্ছিল যেন রেফারির হাতে একটা নতুন হলুদ কার্ড ছিল এবং তিনি তা পরীক্ষা করে দেখতে চাইছিলেন।—রিচার্ড রুফুস, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার।
আমি আমার বাঁ গোড়ালিতে সেঁক নিচ্ছিলাম। তখন পাশ থেকে একজন বলে উঠল ওটা নাকি আমার ডান গোড়ালি।—লি হেনড্রি, ইংলিশ মিডফিল্ডার।
ইতালিয়ানরা আপনাদের বিপক্ষে জিততে পারবে না কিন্তু আপনি তাদের বিপক্ষে খেলে হারতে পারবেন। —ইয়োহান ক্রুইফ, ডাচ ফুটবলার।
যে ব্যক্তি বলে, জয়লাভই সবকিছু নয়, সে আসলে কোনো দিন জয়লাভ করেনি।—মিয়া হাম, আমেরিকান মহিলা ফুটবলার।
লাতিন আমেরিকায় ফুটবল ও রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। এই পর্যন্ত অনেক সরকারেরই পতন ঘটেছে জাতীয় ফুটবল দলের পরাজয়ের কারণে। —লুইস সুয়ারেজ, স্প্যানিশ ফুটবলার।
যদি প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হও, তাহলে ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত হও।—রয় কিন, আইরিশ ফুটবলার ও ম্যানেজার
খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগেই আমরা বিজয়ীকে পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষমেশ দুই দলই সমান হয়ে গেল।—ইয়ান ম্যাকনেইল।
যদি তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকো, তাহলে কেবল একদিকেই যেতে পারবে। সেটা হলো পেছনের দিক। —পিটার শিলটন, ইংলিশ গোলকিপার।
রেফারি দাঁড়িয়ে ছিল উল্লম্বভাবে, ঠিক ১৫ গজ দূরে। —কেভিন কিগান, ফুটবলার।
আমি একবার বলেছিলাম, গাজ্জার আইকিউ তাঁর শার্টের নম্বরের চেয়ে কম। সে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আইকিউ কী?—সাবেক আইরিশ ফুটবলার জর্জ বেস্ট, পল গ্যাসকোয়েন সম্পর্কে।
সে বাঁ পায়ে ফুটবলে লাথি মারতে পারে না, বল হেড করতে পারে না, গোল করতেও পারে না। তা ছাড়া তার আর সবই ঠিক আছে।—জর্জ বেস্ট, ইংলিশ মিডফিল্ডার; ডেভিড বেকহাম সম্পর্কে।
আমার জীবনের প্রথম এবং সম্ভবত শেষবারের মতো এমন হলো। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। একই ম্যাচে কখনো আমি তিনটে গোল দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। এমনকি যখন ছোট ছিলাম তখনো না।—জিনেদিন জিদান, সাবেক ফ্রেঞ্চ ফুটবলার।
আমি আমার সেরা পারফরম্যান্সটিই দেখিয়েছি, এমন অপবাদ আমাকে কখনোই দিতে পারবেন না।—অ্যালান শিয়ারার।
ফাঁকা মাঠের চেয়ে লোকভর্তি বাড়ির সামনে খেলা ভালো।—জনি জাইলস।
যদি বিশ্বাস না করো যে তুমি জিতবে, তাহলে ঘুম থেকে ওঠারই কোনো মানে হয় না।—নেভিল সাউথহল, সাবেক ব্রিটিশ ফুটবলার।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৪, ২০১০
Leave a Reply