দোকানে
‘আপনাদের দোকানে জিনিসপত্রের সর্বশেষ সাপ্লাই কবে এসেছে?’ ইভানৎসভ প্রশ্ন করল বিক্রেতা মহিলাকে।
‘গত পরশু,’ বলল সে।
‘তার মানে, টাটকা নয়,’ মনে মনে সিদ্ধান্ত টানল ইভানৎসভ। ‘না, কিচ্ছু কিনব না!’
ইভানৎসভ বেরিয়ে এল আসবাবের দোকান থেকে।
ঈর্ষা
সি-বিচে এক লোকের পেটে বড় এক কাটা দাগ চোখে পড়ল ইভানৎসভের।
‘কী দারুণ সুখী এক লোক!’ ঈর্ষাভরে ভাবল ইভানৎসভ। ‘ওর অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। আর আমারটা এখনো ব্যথা করতে শুরুই করেনি…।’
টিকিট
‘আমাকে থিয়েটারের টিকিট দিন,
ব্যালকনিতে,’ ইভানৎসভ সবিনয়ে অনুরোধ করল টিকিট বিক্রেতা মেয়েটিকে।
‘প্লিজ, আমার কাজে বিরক্ত করবেন না,’ মেয়েটি উত্তর দিল মাথা না তুলেই।
‘ব্যালকনির একটা টিকিট,’ এবার দৃঢ়কণ্ঠে বলল ইভানৎসভ।
‘বললাম তো, বিরক্ত করবেন না!’ মেয়েটির গলার স্বর উঁচু হলো।
কিন্তু ইভানৎসভ একই অনুরোধ করতে থাকল বারংবার। অবশেষে সিকিউরিটি গার্ডরা এসে তাকে ধরে বের করে দিল অ্যারোফ্লটের অফিস থেকে।
মোটরসাইকেল
একটা মোটরসাইকেলের স্বপ্ন ছিল ইভানৎসভের। বন্ধুরা একটা মোটরসাইকেল উপহার দিল তাকে।
এরপর বহুদিন হা-হুতাশ করল ইভানৎসভ। কাউকে কাছে পেলেই অভিযোগের সুরে বলত, ‘আমাকে আমার স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে!’
এদোয়ার্দ দ্ভোর্কিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৪, ২০১০
Leave a Reply