‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, স্বেতা,’ বলল মিশকিন।
‘না!’ স্বেতলানা বলল অনমনীয় স্বরে। ‘কেউ যখন ভালোবাসে, সে তখন ঠিক যেন উড়তে থাকে, ভেসে বেড়ায় বাতাসে।’
মিশকিন দুই বাহু ঝাপটাতে শুরু করল দুই পাশে। ভেসে রইল ছাদের ঠিক নিচে।
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, স্বেতা,’ আবার বলল মিশকিন।
‘এটা সত্যিকারের ভালোবাসা নয়,’ জেদি সুরে ঠোঁট ফুলিয়ে বলল স্বেতলানা। ‘কেউ যখন ভালোবাসে, সে তখন ঠিক যেন গলতে থাকে। বরফের মতো।’
মিশকিন নেমে এল স্বেতলানার পায়ের কাছে। সংকুচিত হতে শুরু করল তার শরীর।
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, স্বেতা,’ আকারে ক্ষুদ্রতর হতে হতে ক্ষীণস্বরে উচ্চারণ করল সে।
‘এটা কোনো প্রমাণ নয়!’ দুই পায়ে মেঝেতে আঘাত করতে করতে বলল স্বেতলানা। ‘কেউ যখন ভালোবাসে, সে তখন ঠিক যেন জ্বলতে থাকে আগুনে।’
দীর্ঘশ্বাস ফেলল মিশকিন। শরীরের চারপাশে ধোঁয়া উঠল কুণ্ডলী পাকিয়ে। সেই ধোঁয়ার ভেতর থেকে উঁকি দিতে লাগল আগুনের লকলকে জিভ।
‘এভাবে কেউ জ্বলে!’ স্পষ্ট অতৃপ্তির স্বরে স্বেতলানা বলল। ‘এই আগুনে তো স্যুপও গরম হবে না।’
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, স্বেতা,’ কোনোমতে বলতে পারল মিশকিন। তারপর প্রেমপূর্ণ হূদয়ের তীব্র দহনে ভস্ম হয়ে গেল তার শরীর।
‘যত সব ঝামেলা এই পুরুষদের নিয়ে!’ ময়লা ফেলার বালতিতে ছাই ঝেড়ে ফেলতে ফেলতে বিরক্তির সুরে বলল স্বেতলানা।
ভ. কাপিয়ানিদজে
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৪, ২০১০
Leave a Reply