প্রাণের দোস্ত থাকে সেই সুদূর ইংল্যান্ডে। কেপটাউনে বসে তাঁর কথা মনে করে সপ্তাহে এক দিন রেস্তোরাঁয় মিষ্টি খেতে আসেন বুড়ো মাইকেল। দুই প্লেট মিষ্টি নিয়ে টেবিলে বসেন তিনি। তারপর এক পাশে বসে টপাটপ কয়েকটা মিষ্টি খেয়েদেয়ে খানিক পরে চলে যান আরেক পাশে, সেখানেও খানিকটা গিলে ফের চলে আসেন নিজের জায়গায়।
বুড়োর এমন কাজ-কারবার দেখে রেস্তোরাঁর লোকজন তো ভারি অবাক, ‘দুই প্লেট মিষ্টি গিলবে তো একপাশে বসেই গিলো না কেন? এপাশ-ওপাশ করার কী দরকার!’
বুড়ো মাইকেল একটা মিষ্টি গলাধঃকরণ করে বললেন, ‘আমার দোস্ত তো কাছে নেই, তাই ওর হয়ে ওপাশের মিষ্টিগুলোও আমিই খেয়ে নিই!’
এমন করেই চলছিল দিন। হঠাৎ একদিন নিয়মের ব্যতিক্রম, টেবিলের এক পাশে এক প্লেট মিষ্টি নিয়ে বসলেন মাইকেল। ‘ঘটনা কী?’ জানতে চাইল লোকেরা।
‘ঘটনা আর কিছুই না। গতকালই ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে আমার। ডাক্তারের কড়া নিষেধ—মিষ্টি থেকে এক শ হাত দূরে থাকবেন। কিন্তু আমার দোস্তের তো ডায়াবেটিস নেই। তাই নিয়মানুযায়ী ওর হয়েই এক প্লেট মিষ্টি খেয়ে নিচ্ছি আরকি!’ বুড়ো মাইকেলের নির্লিপ্ত জবাব।
পূর্ববর্তী:
« দোসরা মনিব
« দোসরা মনিব
পরবর্তী:
দোয়া »
দোয়া »
Leave a Reply