জুলিয়ার পোষা বেড়ালটা তার নিজের কাছে যতটা প্রিয়, ঠিক ততটাই অপ্রিয় তার স্বামী ভ্যানডারের কাছে। এক সকালে চরম বিরক্তিকর বেড়ালটাকে বাসা থেকে কুড়ি মাইল দূরে ফেলে এল ভ্যানডার। ঘরে ঢুকে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলতেই আঁতকে উঠল সে, এর মধ্যেই কেমন করে পাজি বেড়ালটা ঘরে ফিরে এসেছে! পরদিন আবারও বেড়ালটাকে বস্তাবন্দী করে ৪০ মাইল দূরে ফেলে এল সে। কিন্তু যেই গাধা, সেই পানি। ভ্যানডারের আগেই বেড়াল মহাশয় ঘরে ফিরেছে, দিব্যি ইঁদুরের পেছনে ছুটছে সে! মাথায় রক্ত চড়ে গেল ভ্যানের। জুলিয়ার অগোচরে বেড়ালটাকে বস্তাবন্দী করে গাড়ি হাঁকাল সে। জোহানেসবার্গ থেকে একবার ডানে, একবার বাঁয়ে করে করে ১০০ মাইল দূরের এক বনে চলে গেল শেষমেশ। বেড়ালের শেষ দেখা চাই তার। কিন্তু বিধি যে বাম! বেশ খানিক পর জুলিয়ার কাছে টেলিফোন এল একটা—‘হ্যালো, আমি ভ্যান। আচ্ছা তোমার বেড়ালটা এখন কোথায় বলো তো?’
‘কেন, এই তো আমার কোলেই বসে আছে লক্ষ্মী কুটুকুটুটা!’
ভ্যানডার তখন কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, ‘ওগো, আমি যে হারিয়ে গেছি গো! শহর থেকে ১০০ মাইল দূরের একটা বনে ঘুরপাক খাচ্ছি আমি! আমাকে বাঁচাও, শিগগির পুলিশ আর উদ্ধারকর্মীদের ফোন করো!’
পূর্ববর্তী:
« আমি যে প্রস্রাব পরীক্ষা করাতে এসেছি
« আমি যে প্রস্রাব পরীক্ষা করাতে এসেছি
পরবর্তী:
আমি সব জানি »
আমি সব জানি »
Leave a Reply