প্রেমে পড়ে গেলাম প্রথম দর্শনেই। পরবর্তী টানা দুই মাস পরখ করলাম নিজের অনুভূতি।
‘আমাকে তোমার কেমন লাগে?’ দেখা হলে প্রশ্ন করলাম তাকে।
‘তোমার কেমন লাগে আমাকে?’ সলজ্জ প্রশ্ন তার।
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি,’ বলে ফেললাম সাহস করে।
‘আমিও তোমাকে ভালোবাসি,’ তার ক্ষীণকণ্ঠ শোনা গেল।
‘বহুদিন ধরেই ভাবছি, তোমাকে একটা প্রস্তাব দেব,’ বললাম আমি।
‘কী সেটা?’ রক্তিম হলো তার মুখমণ্ডল।
‘আমার জামা-কাপড় ধুয়ে দেবে?’ আড়ষ্টভাবে বলতে পারলাম।
‘কী বললে!’ চিৎকার করে উঠল সে, ‘তুমি ফাজলামি করছ আমার সঙ্গে?’
‘একেবারেই না!’ আমি বললাম, ‘আমার ঘরদোর পরিষ্কারের কথাও বলতে চাচ্ছিলাম। কাজটা আমি একদমই পারি না।’
‘তুমি কেন আমাকে অপমান করছ?’ বলল সে চোখভরা জল নিয়ে।
‘তুমি কী করে ভাবতে পারলে এমন কথা!’ আমার একটু রাগই হলো, ‘আমি তো তোমাকে ভালোবাসি। এবং আমার ধারণা ছিল, তুমিও আমাকে খুব পছন্দ কর।’
‘আমি তোমাকে সত্যি সত্যিই খুব পছন্দ করি,’ বিষণ্নভাবে হাসল সে।
‘তার মানে, তুমি আমার রান্নাবান্নাও করে দেবে?’ উত্ফুল্ল হয়ে উঠলাম আমি।
কেঁদে ফেলল সে ঝরঝর করে। তারপর চলে গেল। আর কখনো দেখা হয়নি তার সঙ্গে।
অথচ আমার মনে হয়েছিল, আমার সঙ্গে বিয়েতে তার সানন্দ সম্মতি থাকবে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৩, ২০১০
Leave a Reply