বিশাল এক কোরাস দল, এক শ জন গায়ক তাতে, সমবেত কণ্ঠে গাইছিল মনোহর এক গান।
: কোনো কলি ভুলে গেলেই সর্বনাশ!—ভাবছিল প্রথম জন।
: কনসার্টটা আজ শেষই হতে চাচ্ছে না! বাড়ি যেতে নির্ঘাত দেরি হবে আর বউ শুরু করে দেবে ক্যাচাল।—ভাবছিল দ্বিতীয়জন।
: কনসার্ট শেষে দোকান খোলা পাওয়া যাবে তো? রুটি, মাংস, আলু কিনতে হবে।—ভাবছিল তৃতীয়জন।
: গতকাল আসলেই বেশি হয়েছিল মদ গেলা!—ভাবছিল চতুর্থজন।
: এই রদ্দিমার্কা গান শুনতে দর্শকদের ভালো লাগছে!—ভাবছিল পঞ্চমজন।
: উইংসের ঠিক ওপাশেই চমত্কার একটা জিনিস পড়ে থাকতে দেখেছি। আমার আগেই কেউ মেরে না দিলেই হয়!—ভাবছিল ষষ্ঠজন।
: যে যা-ই বলুক, হারামজাদাটাকে একটা শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা না করলেই নয়!—ভাবছিল সপ্তমজন।
: কী অসাধারণ পদযুগল মেয়েটির! বসেছেও প্রথম সারিতে। কখন যে পায়ের ওপর পা তুলে বসবে!—ভাবছিল অষ্টমজন।
: বাসায় গিয়েই বাথটাব! নীরবতা! ঠান্ডা বিয়ার!—ভাবছিল নবমজন।
: শয়তান ডিরেক্টরটা আবার আমাদের ঠকাল!—ভাবছিল দশমজন।
: বাসার অতিথিরা যে কবে যাবে! মাথা খারাপ করে দিল একেবারে!—ভাবছিল কুড়িতম জন।
: আমার বাগানে এসে তোমার ছাগল গাছ খেয়ে যাবে? দাঁড়াও, মজা দেখাচ্ছি!—ভাবছিল তিরিশতম জন।
: দাঁতের ব্যথা শুরু হলো আবার!—ভাবছিল চল্লিশতম জন।
: নতুন প্যান্ট কিনতে হবে অচিরেই। এই প্যান্টে আর কত দিন?—ভাবছিল পঞ্চাশতম জন।
: কী ভ্যাপসা! বাপ রে বাপ! কার পোশাক থেকে আবার ন্যাপথলিনের গন্ধও আসছে!—ভাবছিল ষাটতম জন।
: তালে ভুল করলে কলঙ্কের সীমা থাকবে না!—ভাবছিল সত্তরতম জন।
: মিউজিক কন্ডাকটরটা আস্ত এক গবেট!—ভাবছিল আশিতম জন।
: কার কাছে যে দশটা রুবল ধার চাই!—ভাবছিল নব্বইতম জন।
: বিরক্তির শেষ নেই!—ভাবছিল শততম জন।
বিশাল এক কোরাস দল, এক শ জন গায়ক তাতে, সমবেত কণ্ঠে গাইছিল মনোহর এক দেশাত্মবোধক গান।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২২, ২০১০
Leave a Reply