স্বামী পছন্দ করে তাই চুল এমনভাবে ছোট করেছেন যে তাঁকে ছেলে বলে অনেকেই ভুল করে। তাতে কী? মানুষের এই ভুলটায় অনেক আনন্দ পান তিনি। আর মানুষ আনন্দ পায় তাঁর চমত্কার সব গান শুনে। তবে আজকে গান শোনাতে নয়, রস+আলোয় সাক্ষাত্কার দিতে এসেছেন সায়ান। সঙ্গে ছিলেন তৌহিদা শিরোপা
কবে থেকে গান করছেন?
জন্মের তিন মাস আগে থেকে।
সেটা কী রকম?
মায়ের গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।
আমি তাজ্জব বনে যাই যা দেখে—
যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে, আপনার বেতন কত?
ইশ, যদি ছেলে হতাম—
খুব খারাপ হতো। তখন কেউ কি বলত আপনি ছেলে না মেয়ে? এই রহস্য তো থাকত না।
গান না গাইলে কী করতেন?
রান্না করতাম।
রেগে গেলে প্রতিবাদ করি—
জিহ্বা দিয়ে। অনেক সময় হাত, নখ দিয়ে।
‘গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস’ পেলে কী করবেন?
সোনামোড়ানো ট্রফিটা রেখে দেব। ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দেব।
একই সঙ্গে এত যন্ত্র কীভাবে বাজান?
তখন দুর্গা এসে ভর করে।
সায়ান চুল ছোট রাখেন কেন?
আমার স্বামী পছন্দ করে, তাই।
সায়ান অন্যদের থেকে আলাদা কেন?
এ প্রশ্ন সবাই আমাকেই করে, তাই।
একটা গোপন কথা ছিল বলার—
আমার চুলে প্রচুর খুশকি।
কোন ধরনের পার্লারে যান?
আইসক্রিম পার্লারে।
প্রতি রাতে কী স্বপ্ন দেখেন?
রাতে ঘুমাই। দিনে স্বপ্ন দেখি।
মন খারাপ হয়—
বেসুরো গান গেয়ে এলে।
ভবিষ্যতে কী হতে চান?
পাইলট। কারণ পথে অনেক জ্যাম।
একদিনের সাংবাদিক হলে কী করবেন?
প্রথমেই যাব রুনা লায়লার কাছে। সাক্ষাত্কার নেওয়ার বাহানায় সারা দিন তাঁর সঙ্গে কাটাতে পারব।
যা কখনো স্বামীকে বলা হয়নি—
তোমাকে আর আগের মতো ভালো লাগে না।
আমরা সাক্ষাত্কারের একেবারে শেষ পর্যায়ে। তাহলে এবার একটা গান শোনান।
একটা গান তো আমি শোনাই না। এক ঘণ্টা দিতে হবে গান গাওয়ার জন্য।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০১, ২০১০
Leave a Reply