ভরপুর মদপানের পর বাসায় ফিরে জম্পেশ একটা ঘুম দিয়ে উঠে বাসার বাইরে বেরিয়ে পিঁপড়ে দেখল, অতিকায় এক স্টিমরোলার দাঁড়িয়ে সেখানে। সেটির চারপাশ ঘুরে এসে সে মাথা চুলকে আপন মনে বলল, মাতাল হয়ে কি-না-কি টেনে এনেছি!
ক্যাকটাসের ওপর থেকে নামতে নামতে বিষণ্ন গলায় বলল শজারু, প্রকৃতি বড়ই ছলনাময়ী!
: ছাগীর চেহারা সব সময় অত দুঃখী-দুঃখী কেন?
: কারণ, তার স্বামী একটা ছাগল।
দুই মাছির দেখা।
: কেমন আছ? জানতে চাইল প্রথম মাছি।
: ভালো নেই খুব একটা, ছেলের অসুখ। কাল সারা রাত ওকে নিয়ে ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে হয়েছে।
মোরগ আর মুরগি একসঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে। যেতে যেতে তাদের চোখে পড়ল ইনকিউবেটর। তখন মুরগি বলল মোরগকে, এদিকে আমাকে কেন নিয়ে এলে! এতিমখানা দেখলেই আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়।
মশা ইনজেকশন দিতে পারে, রক্তও নিতে পারে, তবু তাকে ডাক্তার বলা যায় না কেন?
—কারণ সে প্রেসক্রিপশন দিতে পারে না।
ঘুণপোকা তার বাচ্চাদের ডেকে বলল, এখন থেকে তোমাদের খাবারদাবারের মান উন্নত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই দেখো, নতুন একটা খাট এসেছে ঘরে। মেহগনি কাঠের।
বিদ্যুতের তারে দুই বাদুড় ঝুলে আছে মাথা নিচে দিয়ে, বাদুড়েরা যেমন থাকে। হঠাৎ একটি বাদুড় মাথা ওপরে দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। নিচে ঝুলে থাকা বাদুড়টি তাকে জিজ্ঞেস করল, কী হলো তোমার?
: বুঝলাম না! হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম!
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০১, ২০১০
Leave a Reply