বায়োলজি ম্যাডাম হাঁটতেন অনেক জোরে জোরে। কলেজের সবচেয়ে তরতাজা স্যারও তাঁর সঙ্গে হেঁটে পারতেন না। স্যারদের মধ্যে সবচেয়ে জোরে হাঁটতেন ইংরেজির এক স্যার। তাঁর ডায়াবেটিস ছিল। বিকেলে গেমস টাইমে অন্য স্যাররা যখন ভলিবল খেলতেন, ইংরেজির স্যার তখন মাঠের চারপাশে চরকির মতো চক্কর দিতেন। বায়োলজি ম্যাডাম আসার পর দেখা গেল, ইংরেজি স্যারও তাঁর সঙ্গে হেঁটে পারছেন না। এই হচ্ছে অবস্থা।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সময় আমাদের একটা ইভেন্ট ছিল, তিন হাউসের স্যারদের মধ্যে ৪x১০০ মিটার রিলে। তো আমাদের সুরমা হাউসে সব বয়স্ক স্যার। অনেক কষ্টে দৌড় দেওয়ার মতো তিনজন পাওয়া গেল। আর একজন কিছুতেই হয় না। শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে আমরা কয়জন বায়োলজি ম্যাডামের কাছে গেলাম।
ম্যাডাম, আমরা তো স্যারদের রিলেতে লাস্ট হয়ে যাব। দৌড় দেওয়ার কেউ নেই।
হুম, কী করা যায় বলো তো?
না, মানে ম্যাডাম, বলছিলাম যে আপনি তো অনেক জোরে জোরে হাঁটেন।
হুম, তো?
ম্যাডাম, কষ্ট কইরা যদি আপনি একটা দৌড় দিতে রাজি হন, তাইলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন।
বেআদব…
হাতের কাছে কী যেন ছিল। ম্যাডাম ওইটা ছুড়ে মারলেন। আমরা উল্টা ঘুরে দৌড় দিলাম।
সেবারও স্যারদের রিলেতে সুরমা হাউস লাস্ট।
কামরুল হাসান, সিলেট ক্যাডেট কলেজ (১৯৯৪-২০০০)
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০১, ২০১০
Leave a Reply