পদুশকিনের খুব শখ ছিল পুত্রসন্তানের। কিন্তু জন্ম নিল মেয়ে।
কিকটা জুতসই হয়নি বলেই মনে হচ্ছে, নিজের ওপরই বিরক্তি বোধ করল পদুশকিন।
বছর পেরোতেই তার ঘরে এল আরেক কন্যাসন্তান।
বারের পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে গেল। মনটা খারাপ হলো পদুশকিনের।
পরের বছর জন্মলাভ করল আরও এক সন্তান। সেটিও মেয়ে।
এবার বল চলে গেল মাঠের বাইরে, মানে আউট। দীর্ঘশ্বাস ফেলল পদুশকিন।
এক বছর বাদে স্ত্রী জন্ম দিল যমজ দুই কন্যাসন্তানের।
দুই চালেই মাত! হতাশ হলো দাবাভক্ত পদুশকিন।
কিছু দিন যেতেই একসঙ্গে তিন কন্যাসন্তানের পিতা হলো সে।
ট্রিপল জাম্পটাও ঠিকমতো দিতে পারলাম না! আক্ষেপের সীমা রইল না পদুশকিনের।
পরবর্তী বছরে স্ত্রী আরও এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিতেই শাশুড়ি গজগজ করে বললেন, স্ত্রীর প্রতি পদুশকিনের কোনো মায়া-দয়া নেই।
রেফারিকে বের করে দাও মাঠ থেকে! মেজাজ খিঁচড়ে গেল পদুশকিনের।
পরের পাঁচ বছরে পদুশকিনের গোপন প্রেমিকাদের গর্ভে জন্ম নিল আরও পাঁচ সন্তান। সব কটিই মেয়ে!
হোমগ্রাউন্ড আর অ্যাওয়ে-গ্রাউন্ডে কোনো তফাতই যে নেই দেখছি! চূড়ান্ত হতাশায় ডুবল পদুশকিন।
পরের বছর পদুশকিনের বড় মেয়ে জন্ম দিল নাতনির!
যুবদলেরও একই অবস্থা! বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ল পদুশকিন।
অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল পদুশকিন, নিজেই নামবে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে।
অপারেশন করিয়ে পদুশকিন হয়ে গেল পদুশকিনা।
বছর ঘুরতেই পদুশকিনা জন্ম দিল ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ০১, ২০১০
Leave a Reply