৪০তম বিবাহবার্ষিকীতে এক মহিলার হঠাৎ মনে পড়ল বিয়ের প্রথম রাতে তার স্বামী তাকে বলেছিল সে যা খুশি করতে পারে কিন্তু শুধু যেন বিছানার নিচে রাখা কাঠের ছোট বাক্সটা না খোলে । এতদিন ধরে স্ত্রী কখনো সেটা ছুঁয়েও দেখে নি। কিন্তু ৪০ বছর এই ব্যাপারে সৎ থাকার কারণে তার কাছে মনে হল এখন নিশ্চয় সেটা খোলার অধিকার তার হয়ে আছে। ধীরে ধীরে ছোট বাক্সটি বের করে সে সেটা খুলে দেখল তার ভেতরে স্বামীর জমানো খুচরা টাকায় মোট তিন শ ডলার আর চারটা খালি বিয়ারের বোতল।
রাতে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ডিনার শেষ করার পর সে তাকে জানাল বাক্স খোলার ব্যাপারটা।
‘সর্বনাশ! তুমি এটা কী করেছ?’ স্বামী কিছুটা উত্তেজিত।
‘আহা এটাতে রেগে যাবার কী আছে?’ কিন্তু চারটা খালি বোতলের অর্থ কী? স্ত্রী কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করল। ‘ইয়ে.. মানে… আসলে বিয়ের পর আমি যতবার তোমার সাথে প্রতারণ করেছি…. মানে অন্য কোনো মেয়ের সাথে শুয়েছি ততবার আমি বাড়িতে এসে ওই বাক্সে একটা করে বোতল রাখতাম’। স্বামী-ভয়ে ভয়ে জানাল। চল্লিশ বছরে মাত্র চারবার এমনটি ঘটেছে ভেবে স্ত্রী তার স্বামীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল- ‘থাক এ নিয়ে আর মন খারাপ কোরোনা…’।
রাতের চমৎকার ডিনার শেষে দুজনই ঘুমাতে গেল। হঠাৎ মধ্যরাতের দিকে একটা কথা ভেবে স্ত্রীর ঘুম ছুটে গেল। সে তখনই তার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে জিজ্ঞেসা করল- আচ্ছা, ওই বাক্সের টাকাগুলো কিসের?
ঘুম ঘুম চোখে স্বামী কোনোমতে পাশ ফিরে জানাল- ও কিছু না যখন বাক্সের ভেতর আর বোতল জায়গা হত না তখন সব বোতল ফেলে এক ডলার করে রাখতাম।
পূর্ববর্তী:
« যখন গরিব ছিলাম
« যখন গরিব ছিলাম
পরবর্তী:
যখন ডাক্তারি করতাম »
যখন ডাক্তারি করতাম »
Leave a Reply