এই লেখাটি যাদের বউ আছে তাদের জন্য। গোটা জগত্-সংসারে স্বামীদের সুখে থাকার জন্য একটাই নিয়ম—বউকে খুশি রাখুন। এমন কিছু করুন যাতে সে খুশি থাকে। আপনি তাকে কতটা খুশি রাখতে পেরেছেন জানতে নম্বর সংগ্রহ করুন। তার অপছন্দের কিছু করেছেন তো মাইনাস। আবার তার জন্য কিছু করেছেন, কিন্তু সেখানেও কোনো নম্বর পাবেন না, কারণ এটা নাকি আপনার করারই কথা ছিল। হতভাগা স্বামীদের কিছুই করার নেই, জগতের নিয়মটাই এমন নিষ্ঠুর। কীভাবে নম্বর পাবেন আর কীভাবে নম্বর হারাবেন, নিচে তা বিশদভাবে দেওয়া হলো। ওয়েবসাইট অবলম্বনে এই গবেষণাকর্মটির গবেষক তাওহিদ মিলটন।
আপনি বিছানা তৈরি করেন এবং মশারি খাটান। (+১)
বিছানা তৈরি করেছেন কিন্তু মশারি খাটাতে ভুলে যান। (০)
তার জরুরি দরকার এমন কিছু কিনতে বাইরে যান। (+৫)
যদি সেটা বৃষ্টির দিনে হয়। (+৮)
ভুলে সেটা না কিনে যদি পেপার কিনে বাসায় ফেরেন। (-৫)
রাতে আপনি যদি কোনো রহস্যজনক শব্দ পান এবং সেটা যদি কিছুই না হয়। (০)
যদি একটা লম্বা লাঠি নিয়ে খুঁজতে বের হন। (+৮)
কিন্তু শব্দটা যদি তার পোষা বিড়ালের কারণে হয়। (-১০)
আপনি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরো সময় তার পাশে থাকেন। (০)
তার পাশে কয়েক মিনিট থাকার পরই যদি উসখুস করতে থাকেন এবং পরে আপনার কোনো বন্ধুর সঙ্গে গল্প করে কাটান। (-২)
সেখানে যদি বন্ধুর স্ত্রী থাকে। (-৫)
স্ত্রীটি যদি সুন্দরী হয়। (-১০)
তার জন্মদিনে সময়মতো উইশ করতে পেরেছেন কিন্তু খালি হাতে। (-২)
জন্মদিনে একটা জিনিস উপহার দিয়েছেন কিন্তু তার অপছন্দের। (-১)
জন্মদিনে যে জিনিসটা উপহার দিয়েছেন সেটা তার খুব পছন্দের। (+৫)
কিন্তু আপনার খুব অপছন্দের। (+১০)
তার পছন্দের জিনিসই উপহার দিয়েছেন কিন্তু সেটা সাংসারিক কাজে লাগবে। (-৫)
বন্ধের দিন তাকে নিয়ে ঘুরতে গেছেন, সিনেমা দেখেছেন। (+১)
ঘুরতে যাননি। (-৭)
নিজে একা একা ঘুরে এসেছেন। (-১০)
যে সিনেমাটি দেখেছেন সেটা তার পছন্দের ছিল। (+৪)
যে সিনেমাটি দেখেছেন সেটা আপনার অপছন্দের ছিল। (+৮)
সিনেমাটি আপনার পছন্দের ছিল। (-২)
আপনি তাকে সাজার পর সুন্দর লাগছে বলেছেন। (+৫)
বলেননি। (-৮)
সে মোটা হয়ে যাচ্ছে বলেছেন। (-১০)
আমাকে কি মোটা লাগছে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে উসখুস করেছেন। (-৫)
আপনি নিজের ভুঁড়ি কমানো নিয়ে কথা বললেন। (+৭)
আপনি তাকে ব্যায়াম করতে বললেন। (-১০)
আপনি তাকে সারপ্রাইজ দিলেন। (+২)
সে আপনাকে সারপ্রাইজ দিল কিন্তু আপনি স্বাভাবিক ছিলেন। (-৯)
তার প্রিয় খাবার যদি আপনি পছন্দ করেন। (+১)
যদি অপছন্দ করেন। (-৪)
আপনি যদি তাকে নিয়ে ভাবেন। (+১)
আপনি যদি তাকে নিয়ে কিছু না ভাবেন। (-৬)
আপনি যদি অন্য কিছু নিয়ে ভাবেন। (-৯)
শ্বশুর-শাশুড়িকে পছন্দ করেন। (০)
যদি অপছন্দ করেন। (-৬)
সেই সঙ্গে যদি নিজের বাবা-মা ছাড়া কিছু না বোঝেন। (-১০)
অফিস থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফোন দেন। (০)
ফোন দেন না। (-৫)
অফিসে যদি মেয়ে কলিগ থাকে। (-৭)
সে কলিগ যদি সুন্দরী হয় এবং তার কথা যদি বাসায় বলেন। (-১০)
তার আগের প্রেম নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন না। (+৯)
আপনার প্রেম নিয়ে কিছু বলেন না। (-৫)
যদি বলেন আপনার আগে প্রেম ছিল। (-৮)
যদি বলেন ছিল না। (-১০)
সে কষ্ট পেলে আপনি কষ্ট পান। (+৪)
কিন্তু সেটা যদি তার কারণে হয়। (-৫)
আবার তার ব্যবহারে যদি কষ্ট না পেয়ে স্বাভাবিক থাকেন। (-৯)
শ্যালিকা আছে। (-২)
শ্যালিকা আপনার প্রশংসা করে। (-৪)
আপনি শ্যালিকার প্রশংসা করেন। (-৬)
শ্যালিকা প্রায়ই বাসায় আসে। (-৭)
আপনিই তাকে আসতে বলেন। (-৮)
শ্যালিকা আপনাকে পছন্দ করে না। (+৩)
আপনি শ্যালিকাকে অপছন্দ করেন। (০)
আপনি শ্যালিকাকে ভালোবাসেন। (-১)
খুব ভালোবাসেন না। (-২)
শ্যালিকা আপনাকে ভালোবাসে কি না জানতে চাইলেন। (-৯)
সে তার একটা সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় আপনি সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন এবং যখন যে রকম এক্সপ্রেশন দেওয়া দরকার সেটা দিলেন। (০)
তার কথা আপনি বিনা প্রতিবাদে মনোযোগ দিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে শুনলেন। (+২০)
এর ভেতর একবারও টেলিভিশন অন করার কোনো রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। (+৩০০)
আপনি এক ঘণ্টা ধরে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। (+১০০০)
এক ঘণ্টা পর সে আপনার নাক ডাকার শব্দ শুনতে পেল। (-২০০০)
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ০৯, ২০০৯
Leave a Reply