যন্ত্রপাতিও কিন্তু মানুষের মতো কথা বলতে পারে। শুধু আমাদের শোনার মতো কান নেই বলে শুনতে পাই না। যন্ত্রপাতির সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক যুগ কাটিয়ে তাদের বলা কথাগুলো রস+আলোর পাঠকদের জন্য অনুবাদ করে দিচ্ছেন মহিউদ্দিন কাউসার, আঁকা সাদাত
কম্পিউটার
অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির নাম কইরা গেমস খেলতাছেন? বড় মামু আইলে যদি বিচার না দিছি, তাইলে আমার হার্ডডিস্ক য্যান ক্র্যাশ মারে। আমার মাদারবোর্ডের কসম, না কইলে আমি বিল গেটসের বংশের না।
এটিএম বুথ
তুই প্রতিদিন ভেতরে ঢুকস ক্যা? তোর তো এটিএম কার্ডই নাই। মাইয়াগো কলেজ ছুটি অইলেই এই হানে ঢুইক্যা ভাব লস? যা বাইরা, আরেক দিন ভেতরে ঢুকলে কানসি বরাবর দুইডা থাবড় দিমু।
ওয়াশিং মেশিন
বস, শার্টে লিপস্টিকের দাগ নিয়া টেনশন লইয়েন না, এইটা আমি এমুন ফকফকা কইরা দিমু, ভাবিসাবে বুঝবই না। তয় গালের দাগটা কষ্ট কইরা নিজেই ধুইয়া আসেন।
ওজন মেশিন
মিটারে ৩০ কেজি ওজন কমছে দেইখ্যা খুশি অওনের কিছুই নাই! মিটার নষ্ট হইলেও আপনের পাড়া খাইয়া আমি ঠিকই বুঝছি কত মাংসে কত ওজন! নামেন মিয়া…!
ক্যামেরা
মামা, উনারে মুখ বন্ধ করতে কন, দাঁত ছাড়া তো কিছুই দেখতাছি না। এইডা না হুনলে বুঝাইয়া কন, আমি ক্যামেরা, ডেন্টিস্ট নই।
ফ্রিজ
চাচা, আমার ওপরের বাক্সে মাছ আর ডিম শর্ট আছে, মনে কইরা নিয়া আইসেন। মাসের ৩০টা দিন চাচিমায় বাজার লইয়া বগরবগর করে, ঘটি-বাটি ছোড়াছুড়ি করে, আমার গায়েও দুইবার পড়ছে…। এগুলান আর ভাল্লাগে না।
মোবাইল
অনেক হইছে। আর না। এবার অন্তত আমারে কয়েক সেকেন্ড রেস্ট দেন। নইলে মনে লয়, এর আগে কারে কারে কল মারছেন—সবই আফারে কইতে অইব।
ঘড়ি
ভাইগো, আমার গায়ের রং দেইখা খুশি হইছেন বইলা আপনের লাইগ্যা মায়া উতলাইছে। শোনেন গো ভাই, আমি অইলাম জিঞ্জিরার মাল, দোকানদার আসল কইয়া আপনেরে ঠকাইছে। তখন সব দেইখাও কিছু কইতে পারি নাই। ব্যাটারি ছিল না, কেমনে কথা কই, কন।
প্রিন্টার
স্যার, অফিস টাইমে রস+আলোর লাইগ্যা নকল জোকস প্রিন্ট দিতে আইছেন? একটা অক্ষর যদি ছাপত, তাও বুঝতাম। যান, জায়গায় গিয়া কাম করেন, নইলে বস আইলে হাটে হটপট ভাইঙ্গা দিমু।
গ্যাসের চুলা
খালাম্মা, এই গরমের দিন অযথা আমারে জ্বালাইয়া রাইখেন না। মোড়ে হাত পাইত্যা বইয়া পড়েন, ম্যাচের কাঠি কিননের টাকাটা জোগাড় অইয়া যাইব। পয়সা বেশি চাইলে একটা গানও গাইয়েন, একটা টাকা দিয়া যান, আমরা গরিব ইনসান…।
Leave a Reply