মন্দার এই বাজারে ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে গিয়ে বাবা-মায়েরা এমনিতেই গলদঘর্ম। পাঠ্যপুস্তক, খাতা-কলম, ইউনিফর্ম তো আছেই, তার ওপর নতুন উপদ্রব জুটেছে—আইরিশ একটি স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে করে টয়লেট পেপার আনতে বলে দিয়েছে। উদ্দেশ্য, স্কুলের ব্যয় কমানো। এখানেই শেষ নয়। সঙ্গে করে দুপুরের খাবার আনাটাও বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের এক শিক্ষকের কথা শুনুন—প্রথম দিনেই ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। অর্ধেক ছাত্রছাত্রী টয়লেট পেপার এনেছে। ভাগ্যিস, সেই খবরে আহ্লাদিত হয়ে শিক্ষক মহাশয়েরা বলে বসেননি, স্কুলে বসার চেয়ার-টেবিলটাও সঙ্গে করে এনো।
সূত্র: রয়টার্স
গাধা যখন জেব্রা
গাজার মারাহল্যান্ড চিড়িয়াখানায় নতুন এক অতিথি এসেছে। প্রাণীটির গায়ে সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ দেখে যে কেউ একে জেব্রা বলে ঠাওরাবেন। আদতে প্রাণীটি একটি গাধা। আত্মপক্ষ সমর্থন করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কী আর করা! গাজায় জীবজন্তু আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সত্যিকারের জেব্রা তো আর আনা গেল না। তাই শিশুদের দেখাতে সাদা রঙের গাধাটাকে চোরাই পথে আনা। তারপর গায়ে এঁকে দেওয়া হয়েছে কালো ডোরাকাটা দাগ। ব্যস! সাদা গাধা হয়ে গেল ডোরাকাটা জেব্রা। কিন্তু বৃষ্টি এলে জেব্রার (!) গায়ের রং ধুয়ে গেলে যে বেশ কেলেঙ্কারি একটা ব্যাপার হবে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। সূত্র: অ্যানানোভা
বর্জ্য দিন পুরস্কার নিন
পরিবেশসচেতন তাইওয়ানি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি জনসাধারণের উদ্দেশে একটা ঘোষণা দিয়েছে। রাস্তার ময়লা-আবর্জনা এমনকি কুকুরের মল তুলে যারা জমা দেবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এক কেজি বা দুই পাউন্ড কুকুরের মল জমা দিলে ১০০ তাইওয়ানি ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। দেশটির পরিবেশ রক্ষা ব্যুরোর ওই ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, কুকুরের মল বলে নাক সিটকানোর কিছু নেই। পরিবেশ দূষিত করে এমন প্লাস্টিক, পলিথিন ব্যাগ জমা দিলেও ওই একই পুরস্কার মিলবে। সূত্র: এএফপি
ভাষান্তর: আবুল হাসনাত
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ১৯, ২০০৯
Leave a Reply