জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচণ্ড গরমে এক দুপুরে কোনো একটা প্রেক্ষাগৃহে এক বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্র বিকল থাকায় শুধু পাখার ব্যবস্থা ছিল। তবু গরমের প্রচণ্ডতায় কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎ এক বুড়োমতো ভদ্রলোককে মেঝেতে হামাগুড়ি খেয়ে পড়তে দেখলেন তাঁরই পাশে বসা ফার্স্ট এইডের ট্রেনিং নেওয়া ভদ্রমহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উবু হয়ে বসে ভদ্রলোককে পরামর্শ দিলেন, ‘মাথাটা দুই হাঁটুর মধ্যে গুঁজে চুপচাপ বসে থাকুন। মাথায় রক্ত চলাচল হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রলোক যতবারই উঠে বসতে চান, মহিলাটি ততবারই তাকে জোর করে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকতে বাধ্য করেন আর বলেন, ‘এই তো এক্ষুনি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
না পেরে ভদ্রলোক শেষে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, ‘একটা লোকের চশমা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার কোনো অধিকারও কি থাকবে না? আমি তো আমার চশমা খুঁজছিলাম মেঝেতে।’
রুবেল কান্তি নাথ, দক্ষিণ কাট্টলী, চট্টগ্রাম
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০০৯
Leave a Reply