ঘটনাটা আমার বন্ধুর খালার, তাঁর কাছেই শোনা। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাঁর স্বামী মানে, খালুজান বাইরে কোথাও গেছেন। বাসা খালি, এ সময় তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এমনই অবস্থা, উঠে যে ফোন করবেন কাউকে, সেই শক্তিও নেই। এ সময় তাঁর খুব পানির পিপাসা পেল। তিনি চিঁ চিঁ করে তার তিন বছরের মেয়ে পিংকিকে এক গ্লাস পানি দিতে বললেন। একটু পর পিংকি সত্যি টুকটুক করে হেঁটে এক গ্লাস পানি নিয়ে এল। তিনি আর দেরি করলেন না, ঢকঢক করে খেয়ে ফেললেন পানিটুকু। খেয়েই তাঁর মনে হলো, পিংকি কী করে পানি আনল, তার পক্ষে তো ফ্রিজ খোলা বা ডাইনিং টেবিল থেকে পানি আনা সম্ভব না; মানে তার নাগালের মধ্যে কোনো পানির সোর্স নেই। তাহলে? হঠাৎ তার মনে পড়ল, একটা সোর্স তো আছে! এবং সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে শুরু করল। তারপর চিঁ চিঁ করে পিংকিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মা, পানি কোথা থেকে এনেছ?’ পিংকি আঙ্গুল তুলে টয়লেট দেখাল। তখন খালার ওয়াক ওয়াক শুরু হয়ে গেছে। যা সন্দেহ করেছিলেন তা-ই···।
রাসেল
আলেকান্দা, বরিশাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০০৯
Leave a Reply