গতকাল ছিল জর্জ বুশ জুনিয়রের জন্মদিন। আসুন, এই ‘মহান’ ব্যক্তির জন্মদিন আমরা উদ্যাপন করি কিছু বুশগাথা দিয়ে। তাঁর কর্মপদ্ধতির সম্মানে আমরা শুরু করব উল্টো দিক থেকেঃ
ছয়· বুশের ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি হয়ে গেছে। সাংবাদিকেরা ছুটে গেল তাঁর কাছে, শতদিন পূর্তির প্রতিক্রিয়া জানতে, ‘হোয়াইট হাউসে এই ১০০টা দিন কেমন কাটল আপনার?’ বুশ যেন আকাশ থেকে পড়লেন, ‘বলো কী, এক বছর হয়ে গেছে!’
পাঁচ· নানা কারণে বুশের ওপর ত্যক্তবিরক্ত এই মার্কিন বুড়ো গেছেন পানশালায়, গলা ভেজাতে। এমন সময় টিভিতে বুশের ভাষণ দেখানো শুরু হলো। বুড়ো চটে গিয়ে বলে উঠলেন, ‘আবার সেই গাধার কথা শুনতে হবে!’
এই কথা শুনে পানশালার রক্ষী রীতিমতো চটে গেলেন। বুশকে গাধার সঙ্গে তুলনা! দিলেন বেদম মার। মার খেয়ে ওই বুড়ো কাঁদো কাঁদো গলায় রক্ষীর কাছে জানতে চাইলেন, ‘ভাই, তুমি বুঝি বুশের খুব ভক্ত।’ নির্লিপ্ত কণ্ঠের জবাব এল, ‘না, আমি গাধার ভক্ত।’
চার· বুশের তৃতীয় স্তরের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ইন্টারনেটে অজস্র কৌতুক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সত্যি বলতে কি, এর গোটাকয় কৌতুক বুশ নিজেও পড়েছেন। বলা বাহুল্য, বুশের মন খুব খারাপ। তিনি ডেকে পাঠালেন তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু ডিক চেনিকে, ‘ডিক, সবাই আমার বুদ্ধি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করে। লোকে বলে, আমিই নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বোকা লোক!’
চেনি মুখে বললেন, ‘কে বলেছে তোমাকে। আসলে গড়পড়তা যুক্তরাষ্ট্রের সবাই বোকা।’ আর মনে মনে বললেন, ‘তা না হলে তোমাকে ভোট দেয়!’ চেনির কথা শুনে বুশ একটু আশ্বস্ত হলেন, ‘তাই নাকি!’ চেনি বললেন, ‘চলো তোমাকে হাতে-কলমে প্রমাণ করে দিই।’
এই বলে বুশকে নিয়ে ডিক চেনি গিয়ে দাঁড়ালেন রাস্তায়। এক ট্যাক্সিচালককে বললেন, ‘ওহে, আমাকে বাসায় নিয়ে চলো তো। গিয়ে দেখি আমি বাসায় আছি কি না।’ কথামতো চালক চেনিকে পৌঁছে দিলেন বাসায়। চেনি বুশকে বললেন, ‘দেখেছো, ব্যাটা কত বড় গর্দভ। আমি বাসায় আছি কি না সেই খোঁজ নেওয়ার জন্য আমাকেই কিনা বয়ে নিয়ে এল বাড়িতে।’ বুশও বি্নিত, ‘তাই তো! কিন্তু তুমি এত কষ্ট না করে বাসায় একটা ফোন দিয়ে দেখতে পারতে।’
তিন· একটি খবরঃ মেয়ের সমাবর্তনে যাননি বুশ
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থাঃ গতকাল ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তাঁর মেয়ে বারবারার সমাবর্তনে যাননি। মেয়ের স্মাতক সম্পন্ন হওয়ার দিনটায় বাবাকে পাশে না পাওয়ার কারণ হিসেবে হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে বুশকে অনুষ্ঠানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে ভেতরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাজীবনে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ার সময় অসংখ্য টার্ম পেপার বুশ জমা দেননি। বুশের ভয়, পাছে অধ্যাপকেরা সেই টার্ম পেপারগুলো চেয়ে বসেন!
দুই· টলতে টলতে বুশ এসে হাজির হলেন এক পানশালায়, ‘অ্যাই, আমাকে চার পেগ হুইস্কি দাও।’ টপাটপ চার গ্লাস লাল পানীয় নেমে গেল বুশের গলা বেয়ে। ‘অ্যাই, আমাকে এবার তিন পেগ হুইস্কি দাও।’ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিন গ্লাস মদ সাবাড়। বুশের কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি ঠিকমতো বসতেই পারছেন না। জড়ানো গলায়ই অর্ডার দিলেন, ‘অ্যাই, আমাকে এবার দুই পেগ হুইস্কি দাও।’ এবার মদ হাজির হতে না হতেই চলে গেল বুশের পেটে।
বার কয়ের হেঁচকি তুলে বুশ বললেন, ‘হিক্, ঘটনাটা কী! যতই কম মদ খাচ্ছি, ততই বেশি মাতাল হচ্ছি। হিক্!’
এক· গতকাল বুশের জন্মদিন ছিল না। শুরুতেই একটা মিথ্যা বলেছি। তা হোক। এই জীবনে বুশ অসংখ্য মিথ্যা বলেছেন। মিথ্যায়-মিথ্যায় কাটাকুটি!
রাজীব হাসান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০০৯
Abdullah
পশুর পেটে জন্মে পশু
মানুষের পেটে মানুষ
আল্লাহ জানেন কোন হালতে
জন্মেছিল জর্জ বুশ!