মিজান সাহেব হেয়ারিং এইড বিক্রি করেন। আজ সকালে এক ভদ্রলোক হাতে একটা প্রদীপ নিয়ে তাঁর দোকানে ঢুকলেন। তিনি মিজান সাহেবকে বললেন,
-ভাই, আমার বেশ বড় একটা হেয়ারিং এইড লাগবে।
-তা দিতে পারব। তবে কিছু যদি মনে না করেন····মানে, আপনার হাতে এটা কিসের প্রদীপ?
-ও এটা? এটা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ।
– কী! আলাদিনের প্রদীপ?
মিজান সাহেব ভদ্রলোকের হাত চেপে ধরে বললেন, ভাই, আমি প্রদীপে একটা ঘষা দিতে চাই।
-আচ্ছা, ঠিক আছে। তবে দৈত্যের কাছে মোটে একটা জিনিস চাইতে পারবেন। চিন্তাভাবনা করে প্রদীপে ঘষা দিন।
মিজান সাহেব অনেক চিন্তাভাবনা করে প্রদীপে ঘষা দিলেন। দৈত্য চলে এল।
-হুকুম করুন, মালিক।
-আমার চারপাশে ‘টাকা’ চাই।
-তা-ই হবে।
এই কথা বলেই দৈত্য উধাও। মিজান সাহেব দেখলেন তাঁর চারপাশ ধু-ধু ময়দান। দোকানপাট কিছুই নেই।
চেরাগ ফেরত নিয়ে ভদ্রলোক মিজান সাহেবকে বললেন, আমি খুবই দুঃখিত। একটা কথা বলতে মনে ছিল না। আমি এই দৈত্যটার জন্যই হেয়ারিং এইড খুঁজছিলাম, দৈত্যটা কানে কম শোনে। মনে হয় সে ‘টাকা’কে ‘ফাঁকা’ শুনেছে। তাই আপনার চারপাশ ফাঁকা হয়ে গেছে।
মারুফ রেহমান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ৩১, ২০০৯
Leave a Reply