তিন দেশের তিন লোক একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁদের স্বর্গ-নরক নির্ধারণ করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ অপমৃত্যুর কারণে তাঁদের একরকম নিষ্পাপ ধরা যেতে পারত।
তাই তাঁদের জন্য একটি নতুন নিয়ম করা হলো। নিয়মটা হলো, মৃত্যুর পর তাঁদের মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে আত্মীয়স্বজন যা বলবে তার দ্বারাই তাঁদের স্বর্গ-নরক নির্ধারিত হবে।
প্রথমজন ছিলেন একজন চিকিৎসক। তিনি বললেন, ‘আমি চাই আমার আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা যাতে বলে আমি একজন ভালো ডাক্তার ছিলাম।’
তাঁর ইচ্ছামতো তা-ই হলো। তাঁর আত্মীয়স্বজন তা-ই বলল এবং তিনি স্বর্গে যাওয়ার অনুমতি পেলেন।
এর পরের জন ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি চাইলেন তাঁর স্বজনেরা যাতে বলে, জীবদ্দশায় তিনি একজন সৎ শিক্ষক ছিলেন। তা-ই হলো এবং তিনিও স্বর্গ লাভ করলেন।
সবশেষে আইনজীবী তাঁর ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, ‘‘আমি চাই স্বজনেরা আমার মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, ‘দেখো দেখো, উনি তো মরেন নাই। উনি নড়ছেন’।’’
— তাওহিদ মিলটন ওয়েবসাইট থেকে
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৭, ২০০৯
Leave a Reply