সাধের কুকুরটি অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় পশু চিকিৎসকের কাছে গেলেন এক ভদ্রলোক। খানিকক্ষণ দেখার পর চিকিৎসক বললেন, আপনার কুকুরের অবস্থা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। পরীক্ষা করার জন্য তাকে পরীক্ষাগারে নিয়ে যাচ্ছি। ডাক্তার পরীক্ষাগারে কুকুরটিকে মেঝেতে রেখে পাশের খাঁচার বিড়ালটি ছেড়ে দিলেন। বিড়ালটি প্রথমে ভয় পেয়ে রুমের কোনায় লুকিয়ে কাঁপতে লাগল। কিন্তু কুকুরটি কিছুই করল না। এরপর চিকিৎসক বিড়ালটি ধরে কুকুরের কাছে নিয়ে এলেন। কিন্তু কুকুরটি তবু বিড়ালকে কিছু করল না।
চিকিৎসক কুকুরের মালিককে দুঃখের সঙ্গে জানালেন যে তার কুকুরটি মারা গেছে। এর পরই অ্যাকাউন্ট্যান্ট তাঁকে একটা বিল ধরিয়ে দিলেন। ভদ্রলোক দেখলেন, ৩৫০ টাকা বিল এসেছে।
ভদ্রলোকঃ আমার কুকুরটি তো মারাই গেছে, বিল দেব কেন?
অ্যাকাউন্ট্যান্টঃ কুকুরটি মারা যাওয়ায় আমরাও দুঃখিত। কিন্তু হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা আর ডাক্তারের ফি তো আপনাকে পরিশোধ করতেই হবে।
ভদ্রলোকঃ ডাক্তারের ফি কত?
অ্যাকাউন্ট্যান্টঃ ৫০ টাকা।
ভদ্রলোকঃ বাকি ৩০০ টাকা কেন?
অ্যাকাউন্ট্যান্টঃ ওটা পরীক্ষাগার ফি। আপনার কুকুরটি যে মারা গেছে ওটা তো পরীক্ষা করেই নিশ্চিত হয়েছি।
ভদ্রলোকঃ কী পরীক্ষা করেছেন?
অ্যাকাউন্ট্যান্টঃ ক্যাট স্ক্যান।
— তাওহিদ মিলটন
ওয়েবসাইট অবলম্বনে
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ০৩
Leave a Reply