যাত্রীসেবায় বাসমালিকদের আরও দূরদর্শী হওয়া উচিত
দেশের সর্বস্তরের স্বল্প আয়ের মানুষের যাতায়াতের জন্য বাসই একমাত্র ভরসা। এমনকি শিশু-বৃদ্ধরাও বাসেই যাতায়াত করে থাকেন। এদিকে দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদের মধ্যে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকে থাকতে হয়। তার ওপর প্রধান যে সমস্যা সেটি হলো বাসে উঠে বসতে গিয়ে অনেক যাত্রীর কোন দিকে বসলে গায়ে রোদ পড়বে না এটা ঠিক করতে অনেক সময় লেগে যায়। অনেক সময় সব হিসাব-নিকাশ করে বসার পরেই দেখা যায় হিসাবে ভুল ছিল। যে আসনে বসেছে, ঠিক সেটার ওপরই এসে রোদ পড়ছে।
সে রোদে পুড়ে কিমা হয়ে গেলেও অন্য পাশের যাত্রীরা ছায়ায় বসে বসে ঝিমায়। আবার অনেক সময় প্রথমে হিসাব ঠিক আছে মনে হলেও কিছুক্ষণ পর বাস রাস্তায় মোড় নিলেই টের পাওয়া যায় হিসাবে ভুল ছিল, রোদ এসে পড়ে গায়ের ওপর। এই সমস্যার কারণে অনেক রূপ ও ত্বক সচেতন মানুষকে প্রায়ই নিদারুণ সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে অনেকে এই জটিল হিসাবে না গিয়ে আসন খালি থাকা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে যাওয়াটাকে ভালো মনে করেন। এতে বাসের ভেতরে অনাকাঙ্ক্ষিত এক জটলার সৃষ্টি হয়।
তাই, এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে প্রতিটি বাসেই ভাড়ার চার্টের সঙ্গে একটা রোদ চার্টও থাকা উচিত। কোন বাস সকাল কয়টা থেকে কয়টার সময় কোন জায়গা থেকে কোন জায়গা পর্যন্ত যাবে, এই সময়ে কখন রোদ কোন দিকে থাকবে-এসব খুঁটিনাটি বিষয় বিস্তারিত লেখা থাকবে সেই চার্টে। তাহলে যাত্রীরা বাসে উঠেই রোদ নিয়ে এই জটিল হিসাব কষাকষি থেকে মুক্তি পাবে। এর বিকল্প হিসেবে প্রতিটি জানালায় রোদনিরোধক কাচ লাগিয়ে রোদের ছোবল থেকে অতিসত্বর বাসযাত্রীদের রেহাই দেওয়া হবে, এ আমাদের প্রত্যাশা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২৭, ২০০৯
Leave a Reply