চীনা সম্রাট একবার বিজয়নগরের সম্রাটের জন্য এক ঝুড়ি পিচ ফল পাঠালেন। সঙ্গে একটি চিঠি। চিঠিতে লেখা-‘এ ফল খেলে আয়ু বাড়ে।’ ফলের ঝুড়িটি যখন সম্রাট কৃষ্ণদেবের সামনে তুলে ধরে চিঠি পড়ে শোনানো হলো, রমণ আর লোভ সামলাতে পারলেন না। একটি পিচ তুলে নিয়ে টুপ করে মুখে পুরলেন। আর যায় কোথা! ভীষণ খেপে গেলেন সম্রাট। বোমার মতো ফেটে পড়ে তিনি বললেন, ‘আমার জন্য পাঠানো ফল কিনা তুমি মুখে দিলে! তা-ও আবার আমি স্বাদ নেওয়ার আগেই! এক্ষুনি তোমার গর্দান যাবে।’
সম্রাটের হুকুমে সেপাইরা চেপে ধরল রমণকে। এক্ষুনি তাঁকে কতল করা হবে। কিন্তু রমণ একটুও ভয় পেলেন না। বরং বাঁকা হেসে বললেন, ‘চীনা সম্রাট যে কেমন বাটপার, এখনই প্রমাণিত হলো। তিনি লিখেছেন, এ ফল খেলে আয়ু বাড়ে, আর আমি মুখে দিতে না দিতে মারা যেতে বসেছি। নিজের প্রাণ যায় যাক, এ নিয়ে আমার চিন্তা নেই। সম্রাট বাহাদুর এ ফল খেলে কী যে হবে, সে কথাই ভাবছি।’
রমণের কথায় টনক নড়ল সম্রাটের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হুকুম রদ করলেন। প্রাণে রক্ষা পেলেন রমণ।
সংগ্রহেঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সূত্রঃ প্রথম আলো, জুলাই ২০, ২০০৯
Leave a Reply