আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা হামেশাই নানা রকমের আষাঢ়ে গল্প ব্যবহার করি। আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা এমন কিছু আষাঢ়ে গল্পের নমুনা হাজির করছেন মেহেদী মাহমুদ আকন্দ।
কলেজছাত্রীর আষাঢ়ে গল্প
আম্মু, সামনে তো পরীক্ষা, পড়াশোনার খুব চাপ। নোট তৈরি করার জন্য আজকে অনেকক্ষণ লাইব্রেরি ওয়ার্ক করতে হবে। বুঝতেই তো পারছ, অনেক খাটা-খাটুনি যাবে। বাসায় ফিরতে কিন্তু মা আজ অনেক দেরি হবে, তুমি আব্বুকে একটু বুঝিয়ে বোলো।
ক্রিকেট দলপতির আষাঢ়ে গল্প
আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি। প্রতিটি ম্যাচ থেকেই আমাদের শেখার কিছু আছে। গত যে সিরিজে আমরা হোয়াইটওয়াশ হলাম সেটা থেকেও আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সামনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও সেটা কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সেই মানসিক প্রস্তুতিও আমাদের সম্পন্ন হয়েছে।
মোবাইল কোম্পানির আষাঢ়ে গল্প
আমরাই দিচ্ছি সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা, আর সর্বনি্ন কলরেট। ১৪ কোটি মানুষের এই দেশে আমাদের গ্রাহকসংখ্যা এখন প্রায় ১০ কোটি। এখনো কথা বলতেই শেখেনি এমন শিশুরাও ব্যবহার করছে আমাদের ফোন। কাজেই আর দেরি কেন, বাকি চার কোটি মানুষও নিয়ে নিন আমাদের ফোন।
প্রেমিকের আষাঢ়ে গল্প
তুমি ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের দিকে তো আমি চোখ তুলেই তাকাই না, মেয়েদের স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমি মুখে রুমাল দিয়ে যাই (শুধু চোখটা খোলা রাখি, নইলে তো আবার রাস্তা দেখতে পাব না)। বিশ্বাস করো, তুমিই আমার প্রথম প্রেম।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আষাঢ়ে গল্প
সব ধরনের টেস্টের ক্ষেত্রে ৬০% ছাড়। সম্পূর্ণ নির্ভুল রোগ নির্ণয়। ২৪ ঘণ্টা স্পেশাল সেবা। রেডি অ্যাম্বুলেন্স (কল করার পর শুধু লাইনে গ্যাস নিতে যতটুকু সময় লাগে)। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন··· সর্বোপরি বাঁচুন আর মরুন, আমাদের হাসপাতালেই আসুন।
শপিং মলের আষাঢ়ে গল্প
এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের সর্ববৃহৎ মার্কেট, সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (শুধু বাথরুম আর কানিকোনাতে এসি নেই), দরদামের বিচারেও সব মহাদেশের সর্বোচ্চ-এমন মার্কেটে শপিং করতে চাইলে এখনি চলে আসুন আমাদের শপিং মলে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৩, ২০০৯
Leave a Reply