নামে বিন্দু হলে হবে কী? কাজে বা কথায় মোটেই ততটুকু নন তিনি। মুক্তোঝরা হাসিতে হাসাতে এসেছেন আলোচনেও। সঙ্গে ছিলেন জিনাত রিপা।
শুরুটা আপনিই করুন···
— দেখুন না, আমার নাম বিন্দু। তাতেই আমার যে উচ্চতা! সরলরেখা অথবা সমান্তরাল রেখা হলে না জানি কী হতো!
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভুল শব্দ কোনটি?
— Impossible (অসম্ভব), যা সম্ভব না, তা আবার হয় কী করে? বরং শব্দটা ভেঙে I’m possible হলে ভালো হতো।
স্কুলে স্যারের কাছে কখনো মার খেয়েছেন?
— স্কুলে খাইনি। তবে কলেজে একবার খেয়েছি। অথচ বিশ্বাস করুন, আমার কোনো দোষ ছিল না।
ও মা! তা আবার হয় নাকি?
— আমিও তো তা-ই বলি। ঘটনা কিন্তু তেমন কিছু ছিল না। স্যার সবাইকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বড় হয়ে কে কী হবে? আমি শুধু বলেছিলাম, ‘আপনি যেভাবে পড়াচ্ছেন, মনে হয় না কিছু হতে পারব!’ আর ওমনি স্যার···
আপনার জীবনের কোনো সুখস্মৃতি মনে পড়ে?
— একবার আমার গানের শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন, আমার গানের গলা নাকি স্বর্গীয়!
বাহ! তাই নাকি? তাহলে নিশ্চয়ই আপনার গানের গলা চমৎকার?
— তা জানি না। আমার গান শুনে তিনি বলেছিলেন, এমন গানের গলা নাকি পৃথিবীর কারও হতে পারে না!
আপনি ভালো মেয়ে-এর সপক্ষে যুক্তি কী?
— আজ পর্যন্ত আমাকে কেউ ছেলে বলেনি।
প্রায়ই চিন্তা করেন এমন কোনো বিষয় আছে কি?
— আমার মনে হয়, পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ব্লটিং পেপার সরবরাহ করা উচিত। যেন প্রশ্ন দেখে কান্না পেলেও ঝামেলা না হয়!
বলুন তো, এ মুহূর্তে আমার মাথায় কী আছে?
— আপনি এক কাজ করুন। মাথার ভেতরের জিনিসপত্র খুলে পানিতে রাখুন।
তাতে কী হবে?
— যদি সেগুলো ভাসে তাহলে শোলা আর ডুবে গেলে লোহা।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য···
— আর মানুষের রক্ত মশার জন্য!
সবচেয়ে ভালো লাগে কখন?
— অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকে যখন আমার সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলে তখন।
সাক্ষাৎকারটি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছু বলতে চান?
— আপনাকে দেখে আমার জেমস বন্ডের কথা মনে পড়ল। আমার তো এতক্ষণ আপনার সঙ্গে কথা বলার পর আপনাকে বন্ডের চেয়েও ৬০ গুণ বেশি মনে হলো।
মানে?
— মানে তেমন কিছু না, জেমস্ বন্ডের কোড ‘০০৭’। তার ৬০ গুণ, মানে দাঁড়ায়, ‘০০৭x৬০=?’-এটা বরং আপনার জন্য ধাঁধাই থাক।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৫, ২০০৯
Leave a Reply