প্রিয়তমা লুস্যিয়া জিওভ্যানিলি রাটিউলিস রেজিলাস, আশা করি ঊননব্বই মাত্রায় খারাপ আছ। আমার চিন্তায় রাতে নিশ্চয়ই তোমার ঘুম হয় না! আমাদের গ্রহে তিনটা সূর্য তো, তাই রাতই হয় না। ফলে রাতে আমারও ঘুম হয় না। মহাকাশের বেলাক্ট্রিক্স নক্ষত্রের কসম, ‘না হাউ কিবিটা সামআবে চিনুস’ ইয়ে মানে তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না, অনেক ভালোবাসি তোমায়। তুমি কি বোঝ না তোমাকে ৪২০ ইঞ্চি টেলিস্কোপের সামনে দেখতে না পেলে আমার মনে দ্বাদশ মাত্রার টাইফুন ওঠে। তোমার জন্য আমি মঙ্গলের দুটি চাঁদ এনে দিতে পারি, শনির বলয় দিয়ে আংটি বানিয়ে দিতে পারি, ব্ল্যাক হোলের অতল গহ্বরে মরতে পারি। গত সপ্তাহে যে চিঠিটা রোবট এক্সএল২৩ দিয়ে পাঠিয়েছিলাম, তা কি তুমি পাওনি? অবশ্য এ রকম একটা কিছু হবে আমার নবম ইন্দ্রিয় আগেই টের পেয়েছিল। রোবটটাকে আর বিশ্বাস করা যায় না, সেদিন হলো কি, ্লোবেল পুরস্কারখ্যাত গ্যালাকটিক মানের কবি ‘র্যাবিন্দ্র নাট-টিকোর’ লেটেস্ট বই লাস্ট পয়েমটা তোমার কাছে পাঠাব বলে ওকে দিলাম। হতচ্ছাড়াটা অন্য এক মেয়ে রোবটকে গিফট করে এল। যা-ই হোক, এবার নতুন প্রজাতির একটা রোবট পাঠাচ্ছি। তুমি কি জানো, আমাদের পূর্বপুরুষেরা নাকি কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষের তলে বসে বাঁশি বাজিয়ে তাদের প্রিয়াকে ভালোবাসা জানাত? ওটা জুরাসিক আমলের কথা। আমিও বাঁশি বাজিয়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিট করে মহাবিশ্বের প্রতিটি গ্যালাক্সির প্রতিটি মেয়েকে আমার ভালোবাসার কথা জানাব। প্রিয়তমা, আগামীকাল সেরেস গ্রহাণুর ১৭ নম্বর হোলের সামনে এসো, আমরা একসঙ্গে রোমান্টিক মুভি মহাশূন্যের অতলে প্রেম ধরে ফাটলেটা দেখব। মনে রাখবে, কোনো সুপারনোভাই আমাদের আয়নিক বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। ও হ্যাঁ, আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে ফ্যান্টাবুলাস গ্যালাক্সির ভংচং ৪৭ গ্রহের রাজা হামুনের দ্বিতীয় স্ত্রী মিটাকুলাসের ছোট ছেলে টাংকিউলিস নাকি তোমাকে ডিস্টার্ব করছে। ওকে সাফ জানিয়ে দিয়ো, যেন বামন হয়ে চার হাজার দুই শ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের কোয়াসারের দিকে হাত না বাড়ায়। ভালো থেকো।
ইতি
তোমার ভালোবাসার ফিউতিন গাইচ তপুন্তিভস্কি চিম্পারচেফা
সিলডা ফামিন পেরেখদিয়া নিশ্চায়ক
ফিভিস্কি দা গামা
[বি·দ্র. আমার নামটা এক নিঃশ্বাসে বলার কোনো প্রয়োজন নেই। দু-চারটা দম নিয়ে নিয়ো]
— মাসুদুল ইসলাম
সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর-১০, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০১, ২০০৯
Leave a Reply