ভিনগ্রহের ফুটবল খেলছে বার্সেলোনা। খবরটা শুনে আমিনুল সিদ্ধান্ত নিল, কয়েকজন ফুটবল খেলোয়াড়কে নিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ভিনগ্রহে যাবে। বিভিন্ন তথ্য জেনে এসে জাতীয় দলের পাঁচজন খেলোয়াড় নিয়ে চাঁদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। বাফুফের অনুমতিক্রমে চাঁদে গেল আমিনুল বাহিনী। এমিলি প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জেনেছেন ভিনগ্রহের কথা। কিন্তু ভিন্ন উপগ্রহের দল কেমন হবে তা নিয়ে তাঁর মনে সংশয়। অন্যদিকে এনামুল ভাবলেন, ‘সময় তো কম হয়নি, কিন্তু ক্ষুধা লাগছে না কেন?’ কথাটা রবিনকে পাস করে দেওয়ায় রবিন বললেন, ‘পৃথিবীতে যা খেয়েছ, তাতেই চলবে।’ অপরদিকে জাহিদ ভাবছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁধে নিয়ে ভিনগ্রহের ফুটবলাররা এত ভালো কীভাবে খেলে? পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট দল সিদ্ধান্ত নিল, এই উপগ্রহের সেরা দলটির অনুশীলন দেখবে ও তাদের কাছ থেকেই প্রশিক্ষণ নেবে। তাদের সঙ্গে কী ভাষায় কথা বলবে তা নিয়ে মতৈক্য দেখা দিল না দলটির। সর্বসম্মতিক্রমে আমিনুল বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে সেরা দলের অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে ‘হ্যালো’ বলায় যে উত্তর এল তা পালাক্রমে সবাই শুনলেন, কিন্তু কেউ বুঝলেন না। অবশেষে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, যেভাবেই হোক চাঁদে অনুশীলন করে দেশে ফিরবেন। এমিলি বললেন, ‘চলো সবাই, আমিনুলকে কিক করি।’ আমিনুল বললেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়ককে কিক মারতে চাও?’ আমিনুল ভুল বুঝেছেন বুঝতে পেরে এনামুল বললেন, ‘না, না, সেটা কীভাবে হয়? আমরা আসলে তোমার দিকে বল লাথি মারব অর্থাৎ কিপিং প্র্যাকটিস।’ মিডফিল্ডার জাহিদ যে কিকটা মারলেন তা ধরতে ডান দিকে ঝাঁপ দিয়ে খাট থেকে ফ্লোরে পড়ে পরবর্তী এক মাস হাসপাতালে কাটালেন আমিনুল।
— শুভংকর দত্ত
রসায়নবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০১, ২০০৯
Leave a Reply