আজ এই মফস্বলে প্রজনন উৎসবে বেজে ওঠে বৈশাখী মাদল। ভেঙে যায় ভাতঘুম—আচ্ছন্ন শিশুর চিরসম্মোহন হাসি। রেশমিচুড়ি বাজে—জেগে ওঠে বক্ষমূলে সন্তানের লোভ।
আজ এই মফস্বলে জেগে ওঠে চড়কের গাছ—অশ্বত্থ পায় সবুজ যৌবন—ঈশান কোণে বেজে যায় কালো সাইকেল ক্রিং ক্রিং—গর্ভপাত করে কৃষাণি সকালের আলো অস্বীকার করে।
আজ এই মফস্বলে কড়া রৌদ্রে শুয়ে থাকে রমণী খড়বিছালীর পাটে—দৈবকামের ফুল ফোটে বিষণ্নতা মেশানো নাগেশ্বর গাছে—রাস্তার পাশে পড়ে থাকে ভিখারি নারীর প্রেমথালা—অট্টালিকার কোণে কৃষ্ণের সাথে গল্প করে সুনির্বোধ বালা।
আজ এই মফস্বলে শ্রীরাধার মন নেই শরীরে—শরীর শুধু শরীরের জ্বালা।
এলো আবার বৈশাখী ডাক—হয়তো কর্কশ শব্দের স্রোতে মুছে যাবে নৈশব্দের কথোপকথন—আজ এই মফস্বলে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২৩, ২০১০
Leave a Reply