বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার উৎপত্তি মূলত ইউরোপ-আমেরিকায়। আমাদের দুর্যোগের দিনে তারা সব সময়ই এগিয়ে আসে। তাদের এমন দুর্দিনে আমাদের পক্ষ থেকে কিছু উপহার পাঠানোর প্রস্তাব জানাচ্ছে শাত শামীম
জিনজিরার কারিগর
মন্দার কারণে তথ্যপ্রযুক্তির উৎপাদনেও প্রভাব পড়েছে। এটা কোনো ব্যাপারই না। আমাদের জিনজিরা থেকে একদল কারিগর পাঠিয়ে দিলে এক সপ্তাহে সব ঠিক করে দেবে। আমেরিকা তো এক শ ডলারে ল্যাপটপ বানায়, এরা এক শ ডলারে বিমান পর্যন্ত বানিয়ে দিয়ে আসতে পারবে। তবে এমন সম্পদ আমরা একেবারে দিয়ে দিতে পারব না, মন্দা কেটে গেলে আমরা তাদের ফেরত চাই।
অভিজ্ঞ ঋণখেলাপি
অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেছে। বোকা নাকি, ব্যবসা করতে নামলে আবার দেউলিয়া হয় কীভাবে? ইউরোপ-আমেরিকায় কি ব্যাংক নেই! কীভাবে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে না দিয়ে রমরমা ব্যবসা করা যায় সে-সংক্রান্ত ১০১টি পরামর্শ দেওয়ার জন্য কিছু অভিজ্ঞ ঋণখেলাপি উপহার পাঠানো যেতে পারে।
বঙ্গবাজার শাখা
অ্যাডিডাস, রিবক, নাইকির মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রিতে বিরাট ধস নেমেছে। পোশাকশিল্প বাঁচাতে আগেই আমাদের সস্তা শ্রম বিক্রি করে দিয়েছি, এখন মন্দার সময়ে অন্তত এসব ব্র্যান্ডের ব্যানারে ইউরোপ-আমেরিকায় বঙ্গবাজারের অস্থায়ী শাখা খুলে দিতে পারি। এক ডলারে টিশার্ট আর দুই ডলারে জিনস প্যান্ট সরবরাহ দিতে পারলে মন্দা কাটাতে তো ৬০ সেকেন্ডের বেশি লাগার কথা না!
তদন্ত কর্মকর্তা
সমস্যা উত্তরণের প্রথম ধাপ হলো সমস্যা নিরূপণ করা। অথচ কেন মন্দা হলো সেটা এখনো বের করতে পারছে না। আরে, আমাদের দেশে তো রীতিমতো তদন্ত কর্মকর্তার খনি আছে। কয়েকজন পাঠিয়ে দিলেই হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা তো সাধারণত বেকারই থাকেন। কয়েকজন লোক ঢাকা ছাড়লে তাপমাত্রাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বিজ্ঞাপন বুথ
অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিজ্ঞাপনের অভাবে নাকি অনেক নামধারী আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন বন্ধ হওয়ার পথে। আমরা উপহারস্বরূপ ওসব ম্যাগাজিনের একটা বিজ্ঞাপন বুথ ঢাকায় খুলে দিতে পারি। রিংটোনের বিজ্ঞাপনে ম্যাগাজিনে আর ফিচার ছাপার জায়গাও থাকবে না।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৪, ২০০৯
Leave a Reply