বর্তমান সময়ের খুব আলোচিত বিষয় হচ্ছে বাড়ি। একটি বাড়ির রয়েছে হরেক রকম অংশ। ভবিষ্যতে নিজের একটি বাড়ি বানানোর লক্ষ্যে সেই অংশগুলো নিয়েই গবেষণায় মেতেছেন মেহেদী মাহমুদ আকন্দ।
দরজা
এক দেশে ছিল খুব বোকা একজন লোক। বোকা বলে তার মনে খুব দুঃখ। একদিন সে কোথায় যেন শুনল চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। তার পর থেকেই সে ভাবতে থাকল কী করা যায়! কী করা যায়! একদিন বুদ্ধি বের করল, চোরকে পালাতে দিতে হবে। কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব? সে একটা ঘর বানাল, তারপর চোর প্রবেশের জন্য সামনের দিকে একটি দরজা বানাল, আর চোর পালানোর জন্য পেছনের দিকে বানাল আরও একটি দরজা।
জানালা
জানালা তৈরির পেছনে যে জিনিসটির অবদান সবচেয়ে বেশি, সেটি হচ্ছে ভালোবাসা। মূলত ভালোবাসাকে পালানোর সুযোগ করে দিতেই জানালা তৈরি। এর পর থেকে সংসারে অভাব দেখা দিলেই ভালোবাসা পেছনের জানালা দিয়ে পালাচ্ছে।
ছাদ
আকাশে ঘন কালো মেঘের আনাগোনা দেখে মানুষ একসময় খুব ভয় পেত। কখন আবার আকাশ ভেঙে মাথায় পড়ে-এই ভয়ে তারা রাতে ঘুমাতেই পারত না। তখনই তারা মাথা খাটিয়ে মাথা বাঁচানোর উপায় খুঁজে বের করল-তৈরি করল ছাদ, যাতে আকাশ ভেঙে পড়লেও মাথায় না পড়ে।
সিঁড়ি
তখনকার দিনে মানুষ ওপরের তলায় ওঠার জন্য দড়ি ব্যবহার করত। কিন্তু কোনো এক বছরে পাট উৎপাদন কম হওয়ায় দড়ির দাম গেল খুব বেড়ে। তখন দড়ির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার শুরু হলো মইয়ের। এতে শুরু হলো এক নতুন সমস্যা। লোকজন দোতলা, চার তলায় তুলে দিয়ে মই কেড়ে নিতে শুরু করল। অবশেষে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তৈরি করা হলো কংক্রিটের সিঁড়ি।
দেয়াল
তখন সারা দেশে প্রবল নির্বাচনী হাওয়া। কিন্তু চুনকাম করার জায়গা না থাকায় নেতারা মানুষের শরীরেই নির্বাচনী পোস্টার লাগাত, আর চুনকাম করত। আর ওই লোক সারা দিন কষ্ট করে রোদে দাঁড়িয়ে থাকত। এই কষ্টের হাত থেকে বাঁচতেই দেয়াল তৈরির আইডিয়া। দেয়াল তৈরির ফলে এখন কত সহজেই সেখানে পোস্টার লাগানো যায়, আর চুনকাম করা যায়!
গ্রিল
ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতেই দরজা, জানালা, বারান্দা ও ছাদে ব্যবহারের জন্য গ্রিল তৈরি। কিন্তু মশাদের প্রযুক্তিও অনেক উন্নত হওয়ায় গ্রিলে আর কাজ হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত সেই গ্রিল বর্তমানে মশারিতে রূপ নিয়েছে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২৭, ২০০৯
Leave a Reply