গ্রামের মোড়লের ছেলে বিলেত থেকে ফিরেছে। মোড়লবাড়ির এক লোক তাকে আনতে গেছে শহরে। তার কাছে মোড়লের ছেলে জানতে চায়, ‘বাবা, দাদি, আমার ঘোড়াটা, কুকুরটা, সবাই ভালো আছে তো?’
লোকটা করুণ স্বরে বলে, ‘বাবু, কুকুরটা মারা গেছে।’
ছেলেটা কষ্ট পায়, ‘আহা, আমার খুব প্রিয় ছিল ও।’
লোকটা আবার বলে, ‘অবশ্য কুকুরটার আর কী দোষ! ঘোড়াটা মরে গেল। ওই ঘোড়ার পচা মাংস খেয়েই কুকুরটি মরল।’
‘আহা, আমার ঘোড়াটাও মরে গেছে?’
‘ঘোড়াটার আর কী দোষ! দাদিমা মরে গেল, তাঁর শ্রাদ্ধের জিনিসপত্র শহর থেকে আনতে-নিতে গিয়েই ঘোড়াটা মরল।’
‘বলো কি! আমার দাদিমাও মারা গেছে?’
‘দাদিমার আর কী দোষ! চোখের সামনে নিজের ছেলেকে মরতে দেখলে কে-ই বা বাঁচতে পারে!’
এবার ছেলেটা পড়ে গেল। অজ্ঞান হয়ে গেল, নাকি বাবার মৃত্যুসংবাদ শুনে মরেই গেল-মোড়লবাড়ির লোকটা সেটা বুঝতে পারল না।
— সংগ্রহেঃ রুবাইয়াৎ হোসেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল, ঢাকা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২০, ২০০৯
Leave a Reply