(সম্পূর্ণ বগুড়ার ভাষায়)
অ্যাডা কিপটার গপ্প কমু। তোমরা শুনবিন আর হাসপিন। এক গাঁয়েত এক কিপটা থাকিতচেলো। শালা এতই কিপটা আছ্লো তা কবার লয়। উঁই অ্যাডা পাঞ্জাবি কিনিছিলো, সেড্যা বছর পাঁচেক পরার পর যখন দেখিছে অ্যাডা পরা যাবে না, তখন ওড্যা ক্যাট্যা ফতুয়া বানাছে। সেই ফতুয়া আরও পাঁচ বছর ব্যবহার কোর্যা সেডা গেঞ্জি বানাছে। সেই গেঞ্জি আবার ম্যালা দিন ব্যবহার করিছে। তারপর যখন দেখিছে আর ব্যবহার করা যাবে না, তখন সেড্যা আবার ক্যাট্যা হাত উরমাল (রুমাল) বানাছে। সেই উরমালও ম্যালা বার ব্যবহার কর্যা যখন ত্যানা ত্যানা হয়্যা গেছে তখন সেড্যা নেকড়া বানাছে। সেই নেকড়ার ওপর নির্যাতন চ্যাল্যা চ্যাল্যা যখন দেখিছে অ্যাডা দিয়া আর কাম হবি না, তখন অড্যা আগুনত দিয়ে ভাত রানধিছে। সেই নেকড়ার ছাই দিয়া পরের দিন সকালে কিপটা দাঁত ম্যাজ্যা পুকুরেত কুলি করিচ্চে আর কচ্চে-৭০ টাকা পানিত ফেল্যা দিন্যু! হায়! ৭০ টাকা পানিত ফেল্যা দিন্যু!
— সংগ্রহেঃ এস এম নাজমুল হক
সান্তাহার (চা-বাগান), বগুড়া
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২০, ২০০৯
Leave a Reply