বন্ধুরা সবাই শেয়ারের ব্যবসা করে ফুলে-ফেঁপে উঠছে। অথচ অল্প কিছু টাকা নিয়ে কোনোভাবেই শেয়ারে বিনিয়োগ করার সাহস পাচ্ছে না বিধু বাবু। শেষকালে একজন বুদ্ধি দিল, ‘আরে ব্যাটা, ১০০ টাকা দিয়েই শুরু কর। যদি দাম বাড়ে বেঁচে দিবি। আর কমলেও বেঁচে দিবি। লোকসান হলে অল্প হবে।’
কিন্তু কোনো ব্রোকারই এত অল্প টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে রাজি নয়। তবে বিধুর করুণ দশা দেখে একজন ব্রোকার বলল, ‘একজন ব্রোকারের খোঁজ দিতে পারি। তবে ঝুঁকি পুরোপুরি আপনার।’
বিধু তাতেই রাজি। তার শেয়ারবাজারে ব্যবসা করতেই হবে। কালবিলম্ব না করে সে ছুটে গেল সেই জাঁদরেল ব্রোকারের কাছে। সব শুনে ব্রোকার বলল, ‘ঠিক আছে। আমি ১০০ টাকার শেয়ার অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেব।’
কথামতো প্রথম দিন বিধু ১০০ টাকার শেয়ার কিনল। পরের দিন তার দাম হলো ২০০ টাকা। বিধু মহাখুশি। সে ব্রোকারকে এক হাজার শেয়ার কিনতে বলল। তৃতীয় দিন শেয়ারের দাম হলো ৩০০ টাকা। বিধু এবার আরও এক হাজার শেয়ার কিনতে বলল ব্রোকারকে।
পরের দিন যখন শেয়ারপ্রতি দাম ৫০০ টাকায় উঠল বিধুর মাথা খারাপ হওয়ার দশা। বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে ধার করে টাকা নিয়ে আরও এক হাজার শেয়ার কিনে ফেলল।
সপ্তাহের শেষ দিন দাম উঠল এক হাজার টাকায়। এবার আর বিধুকে পায় কে? সে ফোন দিল ব্রোকারকে।
বলল, ‘এবার শেয়ারগুলো বেচে দিন।’
‘কার কাছে বেচব?’ ব্রোকারের প্রশ্ন।
‘মানে?’
‘মানে আর কি! আমার এখানে আপনিই একমাত্র ক্রেতা। আর কোনো ক্রেতা নেই।’
ইন্টারনেট অবলম্বনে আসজাদুল কিবরিয়া
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০০৯
Leave a Reply