[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী অবলম্বনে]
গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা।
চেয়ারেতে বসে আছি মনে হতাশা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
পত্রিকা পড়া সারা,
মারিতেছি কত মাছি কত যে মশা।
চেয়ারেতে বসে আছি মনে হতাশা।
ছোটখাটো চেম্বার আমি একেলা।
রোগীর আশায় কাটে সারাটা বেলা।
যদি কোনো রোগী আসে,
ডাকিয়া বসাব কাছে।
শেষ হবে অসময়, গোনার পালা।
রোগীর আশায় কাটে সারাটা বেলা।
হঠাৎ শব্দ শুনি সিঁড়ির ধারে।
একজন রোগী তবে এল এবারে।
অনেক যতন করি,
দেখি বহুক্ষণ ধরি,
প্রেসক্রিপশন দিই বিশদ করে।
একটা ভিজিট বুঝি পাব এবারে।
কিন্তু রোগীটি বলে, শোনেন কাকা,
যক্ষ্মায় ভুগে মরি নেইকো টাকা।
আমিও যে নিরুপায়,
এরে ছেড়ে দেওয়া দায়,
রিকশা ভাড়াটি নাই, পকেট ফাঁকা।
ঘোড়েল রোগীটি বলে বাঁচান কাকা।
কোনো কথা নাহি শুনে, কোনো টাকা নাহি গুনে
মক্কেল চলে যায় কী আর করি।
পরে দেখি সর্বনাশ,
মাথায় মেরেছে বাঁশ।
নিয়ে গেছে মোবাইল ও বিয়ের ঘড়ি!!!
বিপ্লব ভট্টাচার্য, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম
সূত্রঃ প্রথম আলো, জানুয়ারী ১৯, ২০০৮
Leave a Reply