হুমায়ূন আহমেদ
–জ্যোৎস্মা রাতে পুরো মন্ত্রিসভাকে বাধ্যতামূলকভাবে বনে যেতে হবে অথবা গলা পর্যন্ত বালুতে ডুবে জোছনা দেখতে হবে।
–নির্বাচিত সাংসদদের হলুদ পাঞ্জাবি পরে সংসদে আসতে হবে।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
–দেশের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে দেখানো হবে।
–সংসদে বাচ্চাকাচ্চাদের প্রবেশের জন্য আলাদা কোটা থাকবে।
আহসান হাবীব
–সংবিধান কমিকস আকারে বের হবে, যাতে দেশের আপামর জনগণ এমনকি বাচ্চারাও তা বুঝতে পারে।
–যেকোনো অধ্যাদেশ কার্টুনের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।
ড· মুহাম্মদ ইউনূস
–সাংসদদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষুদ্রঋণ নিতে হবে।
–নির্বাচিত সাংসদদের সবাইকে গ্রামীণ চেকের পোশাক পরতে হবে।
কাজী জামাল উদ্দিন
–সবাইকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর জন্য খাঁটি সরিষার তেল দেওয়া হবে।
–সংসদ ভবনকে তেলের খনি হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে।
জুয়েল আইচ
–অধিবেশনের সময় বিরোধী দল সংসদে না এলেও জাদুর মাধ্যমে তাদের প্রতিকৃতি হাজির করা হবে।
–বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি থাকলে তিনি বঙ্গভবনকে হাওয়া বা ভ্যানিশ করে দেবেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
–পুরো সংসদ ভবন ভাইবেরাদরে ভরে যাবে।
–কাউকে ভণিতা করে শুদ্ধ বলার ব্যর্থ চেষ্টা করতে হবে না।
সম্রাট শেরশাহ
–ফেসবুক, মেইল, এসএমএস, মোবাইল-সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ‘ঘোড়ার ডাক’-এর প্রচলন করা হবে।
–বঙ্গভবনকে তিনি নরসিংদীর ঘোড়াশালে স্থানান্তর করবেন।
সম্রাট শাহজাহান
–তাজমহলকে জাতীয় সংসদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
–যেহেতু মমতাজকে নিয়ে তাঁর স্বপ্নের শুরু, বাংলাদেশের শিল্পী মমতাজকে জাতীয় শিল্পী বানানো হবে।
বিবি রাসেল
–মন্ত্রী হওয়ার জন্য সাংসদদের ক্যাটওয়াকে অংশ নিতে হবে। যিনি সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করবেন তিনি সবচেয়ে ভালো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন।
–বিসিএসে ফ্যাশন ডিজাইনের কোটা থাকবে।
সিদ্দিকা কবীর
–সংসদ ভবনে অধিবেশন চলাকালে রান্নাবান্নার আয়োজন থাকতে হবে।
–সিদ্দিকা কবীরস রেসিপির বদলে প্রেসিডেন্টস রেসিপি নামে অনুষ্ঠান বানানো হবে।
নবাব সিরাজউদ্দৌলা
–তাঁর জন্মদিনে ‘বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা’-এই রেকর্ড চালানো হবে।
–বিহার ও উড়িষ্যার সঙ্গে বাংলার কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা হবে।
শফিক রেহমান
–প্রতি সংসদ অধিবেশনে সবাইকে লাল গোলাপ দেওয়া হবে।
–‘মৌচাক দেখলেই ঢিল মারতে হবে’-এ জাতীয় আইন করা হবে।
শাইখ সিরাজ
–সংসদ ভবনের আশপাশের খালি জমিতে চাষাবাদ করা হবে এবং ওই জমি থেকে উৎপাদিত ফসল দিয়ে সাংসদদের ভরণপোষণ করানো হবে।
–ঈদের সময় সাংসদদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যার নাম হবে ‘সাংসদদের ঈদ আনন্দ’।
রস+আলোর সম্পাদক
–প্রতি সোমবার নতুন সংবিধান/সংবিধান সংশোধনী সংখ্যা বের হবে।
–সাংসদদের রস+আলোর আইডিয়া দিতে বাধ্য করা হবে।
লিখেছেন কিশোর ও দীপ্র
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ১২, ২০০৮
Leave a Reply