এখন কি আর বসে থাকার যুগ আছে!
সুমাইয়া শিমু
কাঁদলে নিজেকে কেমন লাগে, সেটা দেখার জন্য তিনি আয়নার সামনে গিয়ে প্রায়ই কাঁদেন। কাঁদতে কাঁদতে ভাবেন-নাহ্, যতটা খারাপ লাগার কথা ছিল ততটা খারাপ লাগছে না। তাঁর ধারণা, কান্নানোজাইটিস নামের কোনো রোগ আছে তাঁর। কিন্তু এ নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতেও ভয় পান, যদি সত্যি সত্যি থেকে থাকে, তখন তো কেঁদেও কূলকিনারা হবে না। এবারের রস আলোচনে নিজের সম্পর্কে এভাবেই বলেছেন সুমাইয়া শিমু, সঙ্গে ছিলেন জিনাত রিপা
২০০৯ সাল এল। বছরের শুরুতে আপনার অনুভূতি কেমন?
–২০০৮ সাল শেষ নাকি!
গেল বছরের সঙ্গে কোন ব্যাপারটি আপনার এখনো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে?
–প্রতিদিন সকালে উঠেই মেকআপ নিতে হয়। আগেও অবিবাহিত ছিলাম, এখনো তা-ই আছি।
আপনার মতে, নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের প্রথম অঙ্গীকার কী হওয়া উচিত?
–এবার নির্বাচিত হওয়ার পর যদি এ অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে না পারি, তবে আর কোনো দিনও অঙ্গীকার করব না।
এ যুগের মেয়েরা বিয়ে বসে না, বিয়ে করে, কেন?
–এখন কি আর বসে থাকার যুগ আছে!
এ দেশে শিক্ষিতের হার কবে শতকরা ১০০ ভাগ হবে বলে আপনার মনে হয়?
–এই ধরুন গিয়ে শতকরা ৯৯ শতাংশের পরপরই।
আপনার মতে এ দেশে সবচেয়ে সহজলভ্য জিনিস কী?
–পরামর্শ (পয়সা লাগে না তো!)।
কোন বিষয়টা সব সময় মেনে চলেন?
–আমার কান্না রোগ আছে। যখন-তখন কাঁদি। কান্নার সময় আয়নার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করি। আয়নায় দেখতে দেখতে কাঁদি, খুব বেশি বিশ্রী লাগছে না তো!
আপনার কোনো এক ভক্ত বলা নেই, কওয়া নেই এসে যদি বলে, ‘শিমু, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, আমাকে বিয়ে করো,’ তখন আপনি কী বলবেন?
–আমাকে পেলেও কি তুমি অমর হবে? রাস্তা মাপো।
ভালো আছি, ভালো থেকো···
–নতুন নাটক নিয়ে ফেসবুকে কমেন্টস লেখো।
বইয়ের ভেতরে লেখা থাকে কেন?
–নইলে যে সবাই খাতা ভেবে ভুল করবে!
আপনার কাছে মোবাইল ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক কোনটি?
–বিদ্যুৎ চলে গেলে আলো জ্বালানো যায়।
ভাবতে ভালোই লাগে···
–টেলিভিশনে এখন আমাকে দেখা যায়।
মেয়েরা সব সময় তটস্থ থাকে কোন বিষয়টি নিয়ে?
–টেনশন না করার মতো বিষয়গুলো নিয়েই তারা সাধারণত টেনশনে থাকে।
পৃথিবীতে কার পাওয়ার সবচেয়ে বেশি?
–আপনারা তো ভাবেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতির। আসলে কিন্তু বিদ্যুতের।
আপনার জীবনে কোন ব্যাপারটি প্রাপ্তি হয়ে ধরা দেয়নি?
–আমার হাতের লেখা এত খারাপ, অথচ তার পরও আমি ডাক্তার হইনি!
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ১২, ২০০৮
Leave a Reply