ঢাকা শহরে জনসংখ্যা এত বেশি হওয়ার একটা কারণ হতে পারেন তিনি। তাঁর ভাই বেরাদারের সংখ্যা অনেক। তবে জনসংখ্যা বাড়ানোর কোনো দায়দায়িত্ব নিতে এখনো তিনি অপারগ, তাই বিয়ে করছেন না। তিনি আর কেউ নন, জনপ্রিয় পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আলোচনে তিনি জানিয়েছেন অনেক গোপন তথ্য। সঙ্গে ছিলেন জিনাত রিপা।
আপনি এত জনপ্রিয়, মৌসুমটাও নির্বাচনের, তাহলে নির্বাচনে প্রার্থী হলেন না কেন?
–কারণ, এখন যৌবন যার, কোনো নারীর পাণিপ্রার্থী হওয়ার তাঁর শ্রেষ্ঠ সময়, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নয়।
আপনি এবং হিমেশ রেশমিয়া দুজনই কেন টুপি পরেন?
–আমি পরি ভাবে। আর হিমেশ পরে অ-ভাবে, চুলের অভাবে।
আপনার এত ভাইবেরাদার কেন?
–এর জবাব পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে দিতে হবে। খোদার কসম, এখানে আমার কোনো হাত ছিল না। এই ব্যর্থতার দায় তাদের।
এখনো আপনি অবিবাহিত কেন?
–এখানেও আমার কোনো হাত নেই। এটা বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমস্যা। তারা গাছের কী পরিচর্যা করেছে জানি না! আমার বিয়ের ফুল এখনো কলি হয়ে ঝুলে আছে, ফুটছে না।
কেমন কনে আপনার পছন্দ?
–সেই রকম!!!
প্রেমিকার কোন আবদারে আপনি ‘না’ ভোটই দিয়ে যাবেন?
–তোমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ডটা দাও না, ময়না পাখি।
প্রেমিকা কেন প্রেমিকের বুকে বাসা বাঁধতে চায়, অন্য কোথাও নয়?
–এ রকম বিনামূল্যে নিষ্কণ্টক প্লট আর কোথায় পাবে। উল্টো এই প্লটে বাসা বাঁধার পুরস্কারস্বরূপ নানা উপঢৌকন পাওয়া যায়।
এমন কী ব্যাপার আছে, যা সব সময় মেনে চলেন?
–প্রেমিকার সামনে অন্য মেয়ের প্রশংসা করি না।
প্রেমিক হিসেবে আপনি কেমন?
–দুর্ধর্ষ!!!
নির্বাচনে আপনি যদি প্রার্থী হন, তবে ইশতেহারে দেওয়া প্রধানতম প্রতিশ্রুতি কী হবে?
–নির্বাচনের পর কাহাকেও চিনিব না। চোখে টিনের চশমা লাগাইব।
শেষ পর্যন্ত কোন প্রশ্নটা করা হয়নি বলে আপনি আনন্দিত?
–থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার কবে মুক্তি পাবে? কারণ, একেকবার একেক তারিখ বলতে বলতে ক্লান্ত। তবে এইটুকু বলতে পারি, নতুন বছরের উপহার হিসেবে সাউন্ডট্র্যাক বাজারে আসবে। তার মাস দুয়েক পর ছবি।
আপনার অনেক ভক্ত। আপনি কার ভক্ত?
–আমি শক্তের ভক্ত, নরমের•••
প্রেমের মরা জলে ডোবে না কেন?
–কারণ, প্রেমের মরা এমনই অপদার্থ যে জলও তাকে নিতে চায় না।
পাছে লোকে কিছু বলে-এই পাছের লোকটা সব সময় কী বলে?
–‘তুমি সুন্দর, তাই চেয়ে থাকি। একি মোর অপরাধ’?
রাতে ঘুম না এলে কী করেন?
–জেগে থাকি।
ফুল ফোটে আবার ঝরে যায় কেন?
–সামিনা চৌধুরীকে একটা গান উপহার দেওয়ার জন্য। যাতে তিনি গাইতে পারেন ‘ফুল ফোটে, ফুল ঝরে•••।’
পুরোনো ব্যালট বাক্স দিয়ে•••
বর্তমান নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে পূর্ববর্তী নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট বাক্সগুলো বেকার হয়ে পড়েছে। সেগুলোকে তো আর ফেলে দেওয়া যায় না! সেগুলোও কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা যায়। দেখা যাক কী কী কাজে লাগানো যায় সেগুলো-
— মোড়া বানানো যেতে পারে
ভোট দিতে আসা ভোটাররা লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাজেই তাদের বিশ্রামের জন্য পুরোনো ব্যালট বাক্স দিয়ে মোড়া বানানো যেতে পারে। সেই মোড়ায় ভোটাররা বসে বসে হাতপাখা নিয়ে বাতাসও খেতে পারেন।
— ডাস্টবিন বানানো যেতে পারে
যেসব ভোট নষ্ট হবে, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা সেগুলো ফেলার জন্য পুরোনো ব্যালট বাক্সকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। পুরোনো ব্যালট বাক্স বাতিল ভোটগুলো তো কমপক্ষে পাবে।
— দান বাক্স হিসেবে
নির্বাচন করতে গিয়ে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তা ওঠানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটারদের লাইনে দান বাক্স হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কেউ যেন টাকার পরিবর্তে ভোট না দিয়ে ফেলে।
— জাদুঘরে রাখার জন্য
নতুন প্রজন্মকে পুরোনো ব্যালট বাক্স সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য সেগুলো জাদুঘরে রাখা যেতে পারে। দেশীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে তারা একটা ধারণা পাবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো, ডিসেম্বর ডিসেম্বর ২২, ২০০৮
Leave a Reply