ভোটের আগে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা গরিব-দুঃখী, ছোট-বড় সবার কাছেই ভোট ভিক্ষা করেন। ভোটের পর চেয়ারম্যানরা ওই সব সাধারণ মানুষকে ভুলে যান। তবুও গ্রামের সরল মানুষ বুঝে না-বুঝে ছোটখাটো সব প্রয়োজনেই এক বুক আশা নিয়ে ছুটে যায় চেয়ারম্যানের কাছে। এই নিয়েই গল্পটা।
হাটের ভেতর চেয়ারম্যান সাহেব হাটবাজার করতে ব্যস্ত। এমন সময় আচমকা এক লোক পেছন থেকে চেয়ারম্যান সাহেবকে ভিড়ের মধ্য থেকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে এসে বলে, ‘ওই যে বুলিচুনু, খইসি পইড়ি গিচে।’ (ওই যে বলেছিলাম খসে পড়ে গেছে) চেয়ারম্যান সাহেব লোকটির কথার কোনো আগা-মাথা না পেয়ে হাঁ করে থাকেন। অবাক হয়ে জানতে চান ‘কবে কী বুলিচেলেন ভাই?’ তার চেয়েও অবাক হয়ে লোকটি জবাব দেয় ‘ক্যা, ভুইলিগিচেন? গেল হাটের দিন বুইলি গেনু, (গেল হাটের দিন বলেছিলাম) আমার গাঁয়ের সুবানের ব্যাটা আক্কাস তাই আমার মইষের ল্যাজে কোব মারিচিলি। ল্যাজ খইসিই গিচিলি। ইটুজালা বাইদি আচিলি। আইজ বিয়ান বেলা তাই খইসি পইড়ি গিচে। এ দ্যাকেন, খসা ল্যাজ আপনেক দেকানির লাইগি গামচাত কইরি বাইন্দি লি আইচি। (আক্কাস আমার মহিষের লেজে কোপ দিয়েছিল। লেজটা একটুখানি বেঁধে ছিল। আজ সকালে পুরোটা খসে পড়ে গেছে। আপনাকে দেখানোর জন্য লেজটা গামছায় বেঁধে নিয়ে এসেছি।)
আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, রাজশাহী
সূত্রঃ প্রথম আলো, ডিসেম্বর ০৬, ২০০৮
Leave a Reply