যত বড় মিউজিশিয়ান হোন না কেন, আমৃত্যু একজন এস আই হয়েই থাকতে হবে টুটুলকে। জীবনে আপাতত বোধহয় তার এর চেয়ে বড় কোনো দুঃখ নেই। গান গেয়েও চেষ্টা করেছেন এস আই থেকে ওসি, এমনকি আইজি হওয়া যায় কি না। কিন্তু হয়নি। রস+আলোকে এ রকম নানা ধরনের জীবনঘনিষ্ঠ কথা শুনিয়েছেন এস আই টুটুল।
আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ কী?
–সারা জীবন এস আই রয়ে গেলাম। ওসি, এসপি কিছুই হতে পারলাম না।
নিজের ভাষাকে কেন মাতৃভাষা বলা হয়?
–বাবারা কথা বলার সুযোগ পান কোথায়?
একটা সিরিয়াস প্রশ্ন করব। আলোচনার শুরুতেই করে ফেলি। বলুন তো, পাক-ভারত স্বাধীনতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল কোথায়?
–চুক্তিপত্রের একদম নিচের দিকে।
এ মুহূর্তে কী ভাবছেন?
–পূর্বজন্মে কোন পাপটা করেছিলাম! যে আমাকে রস+আলোর আলোচনে বাছাই করা হলো?
কেউ প্রেম করে, কেউ প্রেমে পড়ে···আপনার হয়েছে কোনটা?
–ভাবার আগেই বিয়ে হয়ে গেছে।
কেউ একজন আপনার খুব ভক্ত। বলল যে এস আই টুটুল হতে চায়। তাকে আপনি কী বলবেন?
–বলব, দেখেন ভাই, কোর্টে গিয়ে নাম অ্যাফিডেবিট করলেই হতে পারবেন। তবে তাঁর প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তিনি যেন আইজি টুটুল নাম রাখেন। তাতে প্রমোশনের ফ্যাকড়াটা আর থাকল না আর-কি!
‘প্রেমের মরা জলে ডোবে না···’ কেন?
–সাঁতার জানে মনে হয়।
ধরুন, একদিন স্বপ্নে দেখলেন আপনি হুমায়ূন আহমেদ হয়ে গেছেন। তখন কী করবেন?
–ঘুমিয়েই থাকব স্বপ্নের বাকিটা দেখার জন্য, যেখানে হুমায়ূন আহমেদ স্যার টুটুল হয়ে যাবেন। নইলে তো নাটকে গান গাওয়াতে পারব না।
আপনি আসলে কে?
–এস আই টুটুল। তানিয়া আহমেদের বর।
যায় দিন··· যায় একাকী···
–আরে! কী বলে? তানিয়া নাই নাকি?
বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই মানুষ টাকার পেছনে ছোটে। টাকা দিয়ে আসলে মানুষ কী করে?
–খরচ করে, জমায় আর ধার দেয়।
প্রেমে পড়লে প্রত্যেকেই কবি হয়, আর···
–টয়লেটে গেলে সবাই গান গায়।
মেয়েরা আসলে···
–কম্পিউটারের মতো। স্টার্ট নিতেও দেরি করে। আবার হ্যাং হয়ে যায় বারবার।
আপনার ভালো লাগে না এমন একটি বিষয় বলুন।
–ইংরেজি ভাষা। কোনো নিয়মকানুন নেই। ‘হাসি’র ইংরেজি ‘লাফ’। অথচ হাসাহাসির ইংরেজি লাফালাফি না। দূর!
সূত্রঃ প্রথম আলো, নভেম্বর ১৭, ২০০৮
Leave a Reply