নতুন পোশাক, সাজের বাহার আর ভরপেট খানাপিনা না হলে কি বাঙালির উৎসব জমে! তাই বাইরে যতই ঘোরাফেরা হোক না কেন, ঘরে খাবারের আয়োজনের কিন্তু কোনো কমতি নেই। উৎসব বলে কথা। তাই শুধু খাবারেই নয়, খাবার টেবিলেও তো সেই আঁচটা থাকা চাই। অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরীন চৌধুরী বলছিলেন, পূজার দিনে খাবার পরিবেশনায় একটু ঐতিহ্যবাহী বাসনকোসন (যেমন, কাঁসা, পিতল, রুপা আর মাটি) ব্যবহারের কথা। পূজার একেক দিন একেক রকম বাসনে খাবার পরিবেশন আনবে বৈচিত্র্য।
অষ্টমীর টেবিল সাজে উৎসবের আমেজ আনতে ম্যাট হিসেবে ব্লকের কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে হালকা সাদা কাপড়ে ব্লকের কাজ পুরো টেবিলে একটা উৎসবের আবহ ছড়িয়ে দেবে। খাবার পরিবেশনে ব্যবহার করতে পারেন কাঁসার বাসনকোসন।
পূজাতে নাড়ু, লুচি, সবজি, লাবড়াসহ আরও কত মজাদার খাবারের আয়োজন থাকে। পূজার মধ্যেই যেকোনো একদিন রুপা বা স্টিলের কারুকাজের থালা-বাসনে খাবার সাজিয়ে রাখতে পারেন। খিচুড়ি আর বিভিন্ন ধরনের ভাজা দিয়ে সাজাতে পারেন থালা। নাড়ু, মুড়ি, মুড়কি সাজিয়ে রাখতে পারেন একটু কারুকার্য করা গোল বাটিতে। এবার ছোট ছোট বাটিতে তরকারি রেখে টেবিল সাজাতে পারেন ছবির মতো করে।
বিজয়া দশমীতে অনেক বাড়িতেই চলে মাছ, মাংস খাওয়ার আয়োজন। এদিন খাবার পরিবেশনার জন্য মাটির বাসনকোসন বেছে নিতে পারেন। সেখানে যদি আলপনার নকশা থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। টেবিলে রাখতে পারেন কলাপাতা। খাবার সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন ছোট ছোট আমপাতা। এবার টেবিলের একদিকে চাল আর মুগ-মসুরের ডাল দিয়ে আলপনা একে নিন। এর মধ্যে একটি মাটির গ্লাস উপুড় করে তার ওপর আরেকটি গ্লাস রেখে কয়েকটি বেলপাতা দিয়ে রাখতে পারেন। এবার এর ওপরে জ্বালিয়ে দিন মাটির প্রদীপ। দেখুন না টেবিল সাজটাই কেমন ঘরজুড়ে এনে দিয়েছে পূজার আবহ।
সূত্র – দৈনিক প্রথমআলো
Leave a Reply