মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস যা দেহ গঠন, বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।
মাংসে ভালো পরিমাণে খনিজ-পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম থাকে। মাংসের চর্বিহীন পেশিতে ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও অ্যাসিড ফসফেট থাকে যা দেহ সুরক্ষিত রাখে। তাছাড়া মাংসে ক্যালরি বেশি থাকায় তা শক্তি সরবারহে সহায়তা করে।
বিভিন্ন মাংসের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানান বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ফারাহ মাসুদা।
মুরগি
প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগিতে ৭৪ শতাংশ পানি থাকে। এতে ১২১ ক্যালরি, ২০ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম চর্বি, ১৪ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ০.৭ মি.গ্রা লৌহ, ০.১ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১, ০.১৬ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-২, ১১.৬ মি.গ্রা. নায়াসিন থাকে।
গরু
প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ৬৭ শতাংশ পানি। ১০০ গ্রাম গরুর মাংসতে ১৮০ কিলো-ক্যালরি থাকে। এতে ২১ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম চর্বি, ৬ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ২.৩ গ্রাম লৌহ, ০.০৮ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১, ০.২৬ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-২, ৮.২ মি.গ্রা. নায়াসিন থাকে। এছাড়াও এতে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বেশি।
খাসি
প্রতি ১০০ গ্রাম খাসির মাংসে থাকে ২৯৪ কিলোক্যালরি থাকে। এতে ২১ গ্রাম চর্বি, ৯৭ মি.গ্রা. কোলেস্টেরল, ৭২ মি.গ্রা. সোডিয়াম, ৩১০ মি.গ্রা. পটাসিয়াম ও ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে উচ্চ মাত্রায় লৌহ থাকে।
মুরগির তুলনায় গরু ও খাসির মাংসে চর্বি বেশি থাকায় এগুলো পরিমিত খাওয়া উচিত। রান্নার ক্ষেত্রেও অনেকটা সচেতন হওয়া উচিত। যে কোনো মাংসই সুসিদ্ধ হয় এমনভাবে রান্না করা উচিত।
মনে রাখতে হবে
‘রেড মিট’ রান্নার ক্ষেত্রে বিষয়টির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে বলে, জানান এই অধ্যাপক।
যারা অসুস্থ, যেমন: হৃদ-রোগী, ডায়াবেটিক ইত্যাদি তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী মাংস খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণের পরামর্শ দেন ফারাহ মাসুদা।
সোর্স – বিডিনিউজ
Leave a Reply