রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় গ্যাস এবং ওটিজি অনেক সময় অবহেলায় অযত্নে পরে থাকে। পরিষ্কার করব করব করে আর করা হয়ে উঠে না। কিন্তু এ দুটি জিনিস সবসময় পরিষ্কার না রাখলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আর এ দুটি জিনিস পরিষ্কার করতে গিয়েও কোনো অবহেলায় বা দ্রুত করার চেষ্টা করবেন না কারণ এতেও পড়তে পারেন মারাত্মক দূর্ঘটনায়। গ্যাস এবং ওটিজির কীভাবে যত্ন নেবেন তাই নিয়ে এই আয়োজন-
০ প্রথমে গ্যাস সুইচ অফ করে দিন। শুধু ওভেনের সুইচ অফ করবেন না। সিলিন্ডারেরও সুইচ অফ করে দিন। গ্যাসের বার্ণার ঠান্ডা হয়ে এলে তবেই পরিষ্কার করা শুরু করবেন।
০ ব্রাশ দিয়ে বার্নারের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবার পরিষ্কার করে দিন।
০ কুসুম গরম পানিতে অল্প লিক্যুইড সোপ বা অ্যামোনিয়া দিয়ে তার মধ্যে বার্নার ১ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর নরম ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে বার্নার পরিষ্কার করুন।
০ দোকান থেকে গ্যাসের বার্নার পরিষ্কার করার জন্য সরু তার কিনে নিন। বার্নারের খাঁজের অংশগুলো ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর রেডিমেড ক্লিনিং লোশন দিয়ে মুছে দিন।
০ সুইচের খাঁজে খাঁজে প্রায়শই খাবারের কণা জমে থাকে। প্রতিদিন রান্না করার পর এই অংশটা পরিষ্কার করতে পারলে সব থেকে ভাল। না হলে গ্যাস পরিষ্কার করার জন্য দক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে সুইচ পরিষ্কার করাবেন।
০ মাস কয়েক পরপর গ্যাসের পাইপ চেক করুন। কোনোরকম লিকেজ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পালটে নিন। ভাল মানের পাইপ লাগাবেন।
০ গ্যাসের ওভেন সব সময় চাকাওয়ালা রিংয়ের ওপর বসান। রান্নাঘরের ্যাবে দাগ হবে না।
০ ওটিজি বন্ধ করে প্লাগ খুলে ফেলুন। পুরো ঠান্ডা হলে তবেই পরিষ্কার করতে শুরু করুন।
০ ক্রাম ট্রে ও গ্রিল থেকে খাবারের গুড়ো বের করে দিন। ঈষদুষ্ণ পানিতে ডিশ সোপ বা খাবার সোডা মিশিয়ে নিন। স্পঞ্জে করে এই সাবান জল নিয়ে ভিতর পরিষ্কার করুন। অতিরিক্ত তেলভাব কেটে যাবে।
০ খাবারের দানা জমাট বেঁধে থাকলে সিন্থেটিক প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করুন।
০ পরিষ্কার করার পর ওটিজির ভিতর ও বাইরে পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
০ কখনও ওটিজি পুরোপুরি পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখবেন না।
০ কোনও মেটালের জিনিস দিয়ে ওটিজির ভিতর পরিষ্কার করবেন না।
বিশেষ টিপস্
০ টোস্টার ওভেন শুকনো করে মুছে নিয়ে আবার প্লাগ লাগান। ভিজে হাতে প্লাগ লাগাবেন না।
০ ওটিজিতে গন্ধ হলে ওভেনপ্রুফ বাটিতে পানি ও লেবুর াইস দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ওটিজি চালিয়ে দিন। সঙ্গে সঙ্গে খুলবেন না। গন্ধ কমে যাবে।
০ পরিবারের লোক সংখ্যা এবং যেখানে গ্যাজেটটি রাখবেন জায়গা দেখে ওটিজির সাইজ ঠিক করে নিন। বাড়ির সাধারণ রান্নাবান্না আর খাবার গরম করার জন্য ওটিজির প্রয়োজন হয়। কম দামি, ছোটো ওটিজি কেনাই ভাল।
০ ওটিজি কেনার সময় টেম্পারেচার কন্ট্রোল, টাইমার, রিমুভেবেল র্যাকস প্রভৃতি যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন।
০ এক সেট ওটিজি রেজিস্ট্যান্ট বাসন, কুকবুক হাতের কাছে রাখুন। ওটিজি ব্যবহারের নিয়ম পড়ে নিন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১০
Leave a Reply