রান্নাঘরের আসবাব বা ইন্টেরিয়র যেমনই হোক না কেন প্রত্যেক গৃহিণীই কিন্তু চান তার রান্নাঘরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে। কিন্তু আপনার যদি সঠিক কৌশল জানা না থাকে তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রান্নাঘরের ইচ্ছে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবার সম্ভাবনাই বেশি। তাছাড়া রান্নাঘর তৈরি এবং এটি বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সাজানোর আগেও বেশকিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। রান্নাঘর যেসব কারণে নোংরা বা অপরিচ্ছন্ন হতে পারে তার একটি প্রধান দিক হচ্ছে রান্নাঘরের কালি বা কালচে ভাব। দেখা যায় গ্যাসের চুলায় রান্না করা স্বত্ত্বেও রান্নাঘরের দেয়াল ও জানালায় একধরনের কালচে ও আঠালো প্রলেপ পড়েছে। এছাড়া যাদের রান্নাঘরে কিচেন কেবিনেট রয়েছে তাদের কিচেন কেবিনেটের রঙও সময়ের সাথে অনেকটা মলিন হয়ে পড়ে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য যে ধরনের কৌশল আপনি অবলম্বন করতে পারেন সেগুলো হচ্ছে-
১. রান্নাঘরের দেয়ালে বিশেষ করে চুলার আশেপাশের দেয়ালে টাইলস লাগাতে পারেন। এতে করে আপনি সহজেই কিছুদিন পরপর রান্নাঘর পরিষ্কার করতে পারবেন।
২. যাদের পক্ষে রান্নাঘরের দেয়ালে টাইলস লাগানো সম্ভবপর নয় তারা দেয়ালে ‘প্লাস্টিক পেইন্ট’ ব্যবহার করতে পারেন। কেননা সাধারণ পেইন্টের চেয়ে প্লাস্টিক পেইন্টের দেয়ালের কালচে ছোপ পরিষ্কার করা অধিক সুবিধাজনক।
৩. বিল্ডিং-এর পরিকল্পনা তৈরির সময়ই খেয়াল রাখতে হবে যেন রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে। এতে করে রান্নার সময় যে ধোঁয়াটে ভাবের সৃষ্টি হয় তা কমবে এবং দেয়ালে কালচে ছোপও কম পড়বে।
৪. রান্নাঘরে বাতাস চলাচলের জন্য যদি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকে তবে আলাদা করে এগজস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা করতে পারেন। এর ফলে রান্নাঘরের ভেতরকার গরম বাতাস সহজেই বাইরে বেরিয়ে যাবে এবং রান্নাঘরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় থাকবে।
৫. রান্নাঘরের জানালা পরিচ্ছন্ন রাখবার জন্য সম্ভব হলে জানালা খোলা রেখে রান্না করবেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন বাতাসে চুলার আগুন ছড়িয়ে না পড়ে। এছাড়া রান্নাঘরের জানালা রঙ করার ক্ষেত্রেও প্লাস্টিক পেইন্ট ব্যবহার করা ভাল।
৬. বর্তমান সময়ে অধিকাংশ কিচেন কেবিনেটই প্লাস্টিক উড বা এ ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। নিয়মিত যত্ন নিলে এগুলো সহজেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায়। তবে যাদের কিচেন কেবিনেট একটু পুরনো ধাঁচের বা কাঠের তৈরি তারা এতে প্লাস্টিক পেইন্ট ব্যবহার করুন।
৭. সর্বোপরি সপ্তাহে অন্তত একদিন রান্নাঘর ভালোভাবে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করবেন। এ কাজের জন্য গরম পানিতে সামান্য লিকুইড সোপ গুলে নিয়ে সবকিছু পরিষ্কার করতে পারেন।
৮. সম্ভব হলে প্রতিদিনই রান্নাঘরের মেঝে ও চুলার চারপাশ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৯. খোলা ডাস্টবিনের পরিবর্তে প্লাস্টিকের মুখ বন্ধ ডাস্টবিন ব্যবহার করুন এবং ডাস্টবিন প্রতিদিন পরিষ্কার করুন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, আগস্ট ১১, ২০০৯
Leave a Reply