বাণিজ্যিকভাবে গ্যাসের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর গৃহিণীদের রান্নার কাজে গ্যাসের চুলার ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ হিসেবে বলা যায়, ব্যবহারের দিক থেকে নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও সর্বৈব সুবিধা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় মডেলের গ্যাসের চুলা রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার ব্যাপকতা লক্ষ রেখে দেশীয় কোম্পানিগুলো তৈরি করছে সাশ্রয়ী মূল্যে আকর্ষণীয় মডেলের গ্যাসের চুলা এবং আমদানিকারকেরা বিভিন্ন মডেলের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের ডাবল ও সিঙ্গেল বার্নার কুকার আমদানি করছে।
দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ড
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যালুমিনিয়াম ও টিনের গ্যালভানাইজড গ্যাসের চুলার ব্যবহার বেশি লক্ষ করা যায়। সহজ ব্যবহার পদ্ধতি, সাশ্রয়ী, টেকসই ও গুণগতমানসম্পন্ন হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। দেশীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে আরএফএল, ন্যাশনাল, র্যাংগস, গাজী ব্র্যান্ডের চাহিদা বেশি।
আমদানিকৃত গ্যাসের চুলার অধিকাংশই স্টেইনলেস স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে চীন ও জাপানের তৈরি গ্যাসের চুলার চাহিদা বেশি। নোকা, মিয়াকো, সুপারম্যান, ওএসইএল, জেসিএল, টার্বো ইত্যাদি ব্র্যান্ডের গ্যাসের চুলাও আছে বাজারে।
দরদাম
দেশে তৈরি গ্যাসের চুলার দাম অপেক্ষাকৃত কম। গৃহিণীদের সামর্থø ও রুচির ভিন্নতায় বিভিন্ন মূল্যের গ্যাসের চুলা রয়েছে। ন্যাশনাল ব্র্যান্ডের চুলার দাম ৭০০-১৪০০ টাকা, র্যাংগস ৮০০-১০০০ টাকা, গাজী ৭০০-১৫০০ টাকা। মডেলভেদে ৪০০০-১২০০০ টাকা মূল্যের চুলাও রয়েছে। জাপানের তৈরি নোকা কুকারের দাম ১৯০০-৪০০০ টাকা, এনইওএস ২৫০০-৩০০০ টাকা, টার্বো ৩০০০-৬০০০ টাকা, ঔঈখ ২৪০০-৩০০০ টাকা।
কোথায় পাবেন
গ্যাসের চুলার জমজমাট বাজার হচ্ছে রাজধানীর নিউমার্কেট। নিউমার্কেটের নিচতলায় হার্ডওয়্যারের দোকানগুলোতে এগুলো পাওয়া যায়। এ ছাড়া ইন্দিরা রোডের মানসী প্লাজা, পুরান ঢাকার চকবাজার ও লালবাগ কেল্লার মোড় বাজারেও পাওয়া যাবে।
সাবধানতা
গ্যাসের চুলা ব্যবহারের পর সুইচ ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। নয়তো দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। অপ্রয়োজনে চুলা জ্বালিয়ে রাখবেন না। সতর্ক হোন এবং জাতীয় সম্পদ গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন।
নাজমুল হুদা নাইম
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৮, ২০০৮
Leave a Reply