পেঁপে একটি খাদ্যমানসমৃদ্ধ ফল। এটি একটি সবজিও। পেঁপেকে রোগ প্রতিরোধক খাদ্যও বলা চলে। সহজপাচ্য, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও সারা বছর সব জায়গায় পাওয়া যায় বলে সবজি ও ফল হিসেবে পেঁপের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
প্রায় সব ধরনের পুষ্টি-উপাদানই পেঁপেতে আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে ৮১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। এ ক্যারোটিনের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ ১৩৫০ মাইক্রোগ্রাম রেটিনল সমতুল্য বা ভিটামিন ‘এ’-তে রূপান্তরিত হয়ে আমাদের শরীরে কাজে লাগে।
পাকা পেঁপেতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে ৫৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের দৈনিক ৩০ মিলিগ্রাম ও বাচ্চাদের ৩৫ গ্রাম পেঁপে খেলেই ভিটামিন ‘এ’র সঙ্গে ভিটামিন ‘সি’র চাহিদাও পূরণ হয়। পাকা পেঁপে রান্না করে খেতে হয় না বলে এর ভিটামিন ‘সি’র সবটুকু আমাদের দেহে কাজে লাগে। কাঁচা পেঁপেতেও রয়েছে যথেষ্ট খাদ্যগুণ। এতে পাকা পেঁপের চেয়ে লৌহ, চর্বি, ভিটামিন ‘বি’সহ আঁশ বেশি থাকে। কাঁচা পেঁপেতে পেপসিন নামের জারক রস থাকে, যা আমিষ হজমের জন্য প্রয়োজন। কাঁচা পেঁপে থেকে হালুয়া, পায়েস, স্যুপ, সালাদ, চাটনি, আচার ইত্যাদি লোভনীয় সুস্বাদু, মুখরোচক ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা যায়। আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণে পেঁপের ভূমিকা অনেক।
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ০২ জানুয়ারী ২০০৭
লেখকঃ হসান মাহ্মুদ রিপন
Leave a Reply