শীতের পিঠা খেতে কে না ভালোবাসে? হিমহিম ঠান্ডায় সকাল কিংবা সন্ধ্যায় গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। সকাল-সন্ধ্যায় এখন প্রায়ই দেখা যায় পিঠা ব্যবসায়ীদের। ছোট্ট ছাউনি দিয়ে এক পাশে কয়লার চুলায় সারাক্ষণ বানিয়ে চলছে শীতের পিঠা। ভাপা পিঠা ও কুলি পিঠা। তবে ভাপা পিঠাই বোধহয় বেশি জনপ্রিয়।
পিঠা তৈরিতে সাধারণত দুই ধরনের চালের গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। একটি হলো ছাঁটা চালের গুঁড়ো, অপরটি ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ো। এ ছাড়া ব্যবহৃত হয় নাড়কেল ও গুড়।
প্রতি ১০০ গ্রাম আতপ চালে (কলে ছাঁটা) রয়েছে ৩৪৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৬·৪ গ্রাম প্রোটিন, ৯ মি· গ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪·০ মি· গ্রাম আয়রন। ভিটামিন বি১ রয়েছে ০·২১ মি· গ্রাম ও বি২ রয়েছে ০·০৫ মি· গ্রাম।
আর আতপ চালে (ঢেঁকিতে ছাঁটা) রয়েছে ৩৪৯ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, প্রোটিন ৮·৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মি· গ্রাম, ফেরাস ২·৮ মি· গ্রাম। ভিটামিন বি১ রয়েছে ০·২৭ মি· গ্রাম ও বি২ রয়েছে ০·১২ মি· গ্রাম।
প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৩৭৬ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ১৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯ মি· গ্রাম, আয়রন ৬৯·৪ মি· গ্রাম। ভিটামিন বি১ রয়েছে ০·০৫ মি· গ্রাম, বি২ রয়েছে ০·০২ মি· গ্রাম ও ভিটামিন ‘সি’ ৬ মি· গ্রাম।
প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরের গুড়ে রয়েছে ৪১৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১২০ মি· গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ২·৫ গ্রাম প্রোটিন।
অনেক রকমের খাদ্য-উপাদানের সমন্বয় থাকে বলে পিঠা সব সময়ই উচ্চ খাদ্যশক্তি সরবরাহ করে। কাজেই অনায়াসে এটি হতে পারে সকালের নাশতা কিংবা বাচ্চার টিফিনের খাবার।
দৈনিক প্রথম আলো, ২৬ ডিসেম্বর ২০০৭
সংকলনঃ সাদিয়া আহমেদ
Leave a Reply