সময়ের যান্ত্রিকতায় মাইক্রোওয়েভ অবিচ্ছেদ্য সব পরিবারে । জীবনটা আজ যেন যান্ত্রিকতার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মিটিয়ে সবার নাগালের মধ্যেই এসেছে মাইক্রোওয়েভ ওভেন। বায়োসিরামিক প্রযুক্তিতে তৈরি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না করা খাদ্যের গুণ অর্থাৎ ভিটামিন, নিউট্রেশন সব ঠিক থাকে। শুধু তাড়াতাড়ি রান্না বা অল্প তেল-মশলায় রান্নাই নয়, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না করা যায় হাইজিনিক ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। আধুনিক রন্ধনবিদরা প্রমাণ করেছেন, কেবল খাবার গরমই নয়, নানা স্বাদের খাবারও তৈরি করা যায় মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। দৈনন্দিন সাধারণ খাবারের পাশাপাশি কেক, বিস্কিট, ফিরনি, পোলাও, কাবাব, নান সবকিছুই খুব সহজে তৈরি করা যায় মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। রেগুলেটর এবং ইজিটাচ কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে সহজেই যেমন অপারেট করা যায় তেমনি মেন্যুয়াল দেখে নিজে নিজেও চেষ্টা করা যায় এবং প্রস্তুত করা যায় মজার মজার খাবার।
মাইক্রোওয়েভে রান্নার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতিতেও আছে, যা আমাদের বৈদ্যুতিক খরচ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস-
- রান্নার জন্য মাংস তেল-মসলা দিয়ে মাখিয়ে ৩/৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
- খাবার ১৫/২০ মিনিট আগে ওভেনে রান্না করুন। দেখবেন টেস্ট লাগবে এবং সময়ও বাঁচবে।
- ওভেনপ্রুফ বাটি বা ডিশ ব্যবহার করুন। দুর্ঘটনা কমে যাবে।
- রান্নার পর ওভেন ঠাণ্ডা হলে হাত দিন।
- ওভেনের ভেতর তেল-মশলা ছড়িয়ে গেলে টিস্যু দিয়ে হালকাভাবে মুছে নিন।
- রান্না না করলেও মাঝে মাঝে ওভেনের ভেতর মুছে রাখুন।
- ওভেন ব্যবহারের জন্য মজবুত করে সুইচবোর্ড লাগিয়ে নিন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন আজ আর শুধু শৌখিনতা নয়, আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশে রূপ নিয়েছে। পিৎজা ও মচমচে জলখাবার রান্নার জন্য কিংবা ঢিমা আঁচে রান্নার জন্য এবং সহজে ডিফ্রস্ট করার জন্যও মাইক্রোওয়েভ অতুলনীয়।
নীল আকাশ
আপনাদের সাইটা বেশ চমৎকার। এরকম একটা সাইটের জন্যে সাইট সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা আরেকটা জিনিস যোগ করতে পারেন তা হলো “মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনবার গাইড” কারণ আজকাল বাজারে নানা রকমের মা.. ওভেন পাওয়া যায়। যাতে বিভিন্ন রকমের ফিচার থাকে। কিন্তু এতো এতো ফিচার সম্পর্কে সবার জানা থাকে না। তাই কোনটা কিনলে ভালো হবে বা কি কি ফিচার দেখে কিনবো তার উপরে বিস্তারিত জ্ঞান পেলে ভালো হতো।
আশা করি বিষয়টা দয়া করে খেয়াল করবেন।